সৌর্ন্দয্যের আধার বান্দরবন ঘুরে আসলাম [তথ্য + ছবি ব্লগ]

অবশেষে ঘুরে আসলাম বাংলার অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভুমি বান্দরবন ।যদি জানতে চান কেমন লাগলো তাহলে এক কথায় বলবো
ধনধান্য পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক, সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি


অসাধারণ লেগেছে বান্দরবন বারবার এই গানের লাইনটাই মনে এসেছে এত সুন্দর আমার দেশ আর আমরা গালি দেই কি দেশে জন্মালাম কিছুই নেই ।


প্রথম থেকেই শুরু করি


আমরা ৭ জন বন্ধু মিলে অনেক দিন আগে থেকেই প্লান করে রেখেছি রাঙ্গামাটি যাবো কিন্তু যাবার এক সপ্তাহ আগে সামুর কিছু পোস্ট দেখে সিদ্ধান্ত দিলাম পরিবর্তন করে রাঙ্গামাটি নয় আমরা যাবো বান্দরবন ।সবাইকে বললাম সবাই রাজি হলো এবার রওয়ানা দেবার পালা
কুমিল্লা হতে রাতের ট্রেন ২.৩০ মিনিটে কিন্তু বেরসিক ট্রেন আসলো ৪ টায় ।সাড়ে সাতটায় পৌছলাম চট্রগ্রাম তারপর মিনিবাস দিয়ে সরাসরি বদ্দারহাট বাস টার্মিনালে পৌছে গেলাম ।
বান্দরবন যাবার ভালো কোন বাস দেখলাম না বাধ্য হয়ে পূবার্ণীতে উঠে পড়লাম ভাড়া নিলো পার মাথা ৭০ টাকা করে ।যেতে যেতে লাগলো প্রায় আড়াই ঘন্টার মতো ।সাড়ে বারোটার মাঝেই হোটেল পেয়ে গেলাম এখন যেহেতু অফ সিজন তাই হোটেল ভাড়াও অনেক কম ৩ রুমের এক বিশাল হোটেল পেলাম ভাড়া মাত্ত ৮০০ টাকা নিলো ।


তাড়াতাড়ি করে গোসল করে প্রস্তুতি নিয়ে খাবার খেতে তাজিংডং হোটেলে গেলাম খাবার খেয়ে বের হলাম গাড়ীর খুজে আমরা ঠিক করলাম আজকে কিছু জায়গায় যাবো আর কালকে বাকীগুলো দেখবো গাড়ীওয়ালা দুই দিনের জন্য ৩৮০০ টাকা চায় আমরা বলি ৩০০০ দিবো তারপর ৩৫০০ দিবো কিন্তু কেউ একটাকা কমাতে রাজী নয় সবাই দেখলাম এক জোট ভাড়া কমাবে না অবশেষে বাধ্য হয়ে ৩৮০০ টাকায় রাজী হলাম ।

 আমরা সবতো তেদড় তাই সব গাড়ীর উপরে উঠে গেলাম মানে ছাদে আরকি এত উল্টাপাল্টা রাস্তা তার উপর আমরা ঝিম ধরে সব গাড়ীর উপরে অসাধারন লাগলো


ড্রাইভার প্রথমে  আমাদের নিয়ে গেলো


নীলাচল অসাধারণ লাগলো এত উচুতে পুরো শহর দেখা যাচ্ছে কিছুক্ষনের জন্য বাকরুদ্দ হয়ে গেলাম ওয়াও ওয়াও ........


ওখানে গাড়ী রাখার জন্য দিতে হলো ৫০ টাকা ।কিছুক্ষণ ছবি উঠানোর আর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার পর চলে আসলাম মেঘলা ।
মেঘলা হলো পার্কের মতো একটা জায়গা এর ভিতরে লেক আছে লেকের উপরে দুটো অসাধারণ ঝুলন্ত সেতু আছে রাঙ্গামাটির জুলন্ত সেতু হতেও আর্কষনীয় সেতু তার নিচে লেক দেখে আর স্হির থাকতে পারলাম না সবাই একসাথে সেতু থেকে লাফ দিয়ে পানিতে ।




এবার সরাসরি চলে গেলাম বৌদ্ধ মন্দিরে এটাকে স্বর্ন মন্দির বলা হয় মন্দিরের একদম উপরে একটু খানি স্বর্ন আছে এজন্য নাকি এই নাম ।


মন্দিরটা খূবই সুন্দর কিছুক্ষণ ওখানে সময় কাটিয়ে একটা পাহাড়ের অনেক চূড়ায় উঠলাম সুযাস্ত দেখার জন্য কিন্তু সূর্যই খুজে পেলাম না তাই সন্ধ্যার দিকে গাড়ী বিদায় দিয়ে হোটেলে ফেরত আসলাম


২য় দিন খুব ভোরে নাস্তা করে সব কিছু নিয়ে হোটেল থেকে লগআউট করে সব গাড়ীতে উঠলাম উদ্দেশ্য শৈলপ্রপাত চিম্বুক নিলগীরি হয়ে রুমাতে যাবার ।


শৈলপ্রপাত ঝরনার মতো একটা জায়গা শৈলপ্রপাত হয়ে গেলাম নীলগীরি গেলাম ।নীলগিরি এক কথায় যদি বলি অসাধারন উচুতে উঠে চারদিকে তাকালে যা দেখা যায় তার কোন তুলনা নেই ।


নীলগিরিতে যে ব্যাপারটা সবচেয়ে কঠিন লেগেছে তা হলো আমি উচুতে দাড়িয়ে আছে অনেক দুরে আমার চোখের সামনে দেখলাম একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে আর চারপাশে রোদ এই দৃশ্য দেখে কিছুক্ষনের জন্য হারিয়ে গেলাম ।নিচের ছবিতে দেখুন


নিলগিরি পর্ব শেষ করে চিম্বুক দেখলাম তারপর সরাসরি গেলাম রুমাতে উদ্দেশ্য রুমা বাজার হয়ে বগালেক + কেওক্রাডাং ।


রুমাতে গিয়ে নৌকা করে সাংগু নদী দিয়ে গেলাম রুমা বাজার যেতে ৪৫ মিনিটের মতো লাগে আমরা গেলাম নৌকার ছাদে করে পার মাথা ৩০ টাকা করে নিলো আর  রিজার্ভ নিলে ৮০০ টাকা নেয় রিজার্ভ নেওয়ার দরকার নাই কারণ প্রতি ৩০ মিনিট পর পর নৌকা ছাড়ে ।


রুমা বাজার নেমে হোটেল খুজতে লাগলাম পেয়েও গেলাম একখান ৪৫০ টাকা নিলো এক রুম ৩ বেড আমরা ৭ জনের জন্য যথেষ্ট ।
এবার টার্গেট বগালেক হয়ে কেওক্রাডাং ।বগালেক যেতে হলে অবশ্যই টুরিষ্ট গাইড নিয়ে যেতে হয় না হয় আর্মি যেতে দেয়না ।আমরা রাতেই রুমা বাজারে গিয়ে টুরিষ্ট গাইড খুজলাম এবং কাল সকাল ৭ টার মধ্যেই আসার জণ্য বললাম ।টুরিষ্ট গাইডকে প্রতিদিনের জন্য ৩০০ টাকা করে দিতে হয়।তবে আমরা যেহেতু জানতাম না তাই ৪০০ টাকা নিলো যদি ৩০০ টাকার বেশি চায় তাহলে আর্মির ক্যাম্পে রিপোর্ট করবেন সোজা করে দিবে ।
বগালেক দুই ভাবে যাওয়া যায় চান্দের গাড়িতে ১১ কিমি তারপর ২ ঘন্টা হাটতে হয় অথবা ঝিরিপথ [বনের মধ্য দিয়ে ঝরনার ফলে যে রাস্তা তৈরী হয়েছে] দিয়ে সাড়ে পাচ ঘন্টা হাটতে হয়।আমরা ঠিক করলাম চান্দের গাড়িতে যাবো তবে আসার পথে ঝিরিপথে আসবো ।


সকালে গাইড নিয়ে রওয়ানা দিলাম চান্দের গাড়িতে ছোট এক গাড়িতে ২৮ জন লোক আমরা স্বভাবমতো ছাদেই উঠলাম পার মাথা ৫০ টাকা ভাড়া তবে রিজার্ভ ১৪০০ টাকা নেয়।


খুবই ঝুকিপূর্ন রাস্তা দেখলে মনে হয় মূর্ত্যুর হাতছানি এই গাড়ি কি করে এই রাস্তা উঠে এখনো মাথা ধরেনা।পথে পুলিশের কাছে নাম ধাম সব দিতে হলো ।
১১ কিমি যাবার পর হাটা শুরু করলাম ২ ঘন্টা পাহাড় পাড়ি দিয়ে পৌছলাম বগালেক [সমুদ্রপৃস্ট হতে ২৭০০ ফুট উপরে লেক তবে মতান্তরে ১২শ ফুট]


সেনাবাহিনীর কাছে নাম ধাম বন্ধক রেখে একটা কটেজে উঠলাম পার মাথা ১০০ করে আর খাওয়া খরচ ।


দুপুরে খাবার পর বিশ্রাম না নিয়েই কেওক্রাডাও এর উদ্দেশ্য দিলাম সাড়ে সাত ঘন্টা লাগরো কেওক্রাডাং ঘুরে আসতে রাস্তায় কিছু ঝরনা পাবেন অসাধারণ ।
রাতে গানের আসর +ফাজলামি করার পর দিলাম ঘুম সকালে উঠেই কুমিল্লা যেতে হবে যে ।


এবার শুরু আসল এ্যাডভান্ঝর ।ঝিরি পর দিয়ে সাড়ে পাচ ঘন্টা হাটা ।সেনাবাহিনী হতে বিদায় নিয়ে আল্লার নামে দিলাম হাটা অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ ঝিরি পথ যে কত সুন্দর তা কল্পনা করতে পারবেন না ঝরনার পানি যাচ্ছে বড় বড় পাথর এগুলোর উপরে দিয়ে হেটে চলছি আমরা কি বলবো সাড়ে সাচ ঘন্টা হাটার পরও কাল্তি আসেনি ।ঝিরিপথে একটা বড় ঝরনা পাবেন এতে অবশ্য ই গোসল করবেন ।আমাদের টুরিষ্ট গাইডটা ছিলো খুবই ভালো আমাদের জন্য একটু পর পর পেপে কলা পেয়ারা নিয়ে আসতো ।ঝিরি পথে রওয়ানা দেবার আগে প্রায় ১০০ টা পাহাড়ী কলা কিনে নিয়েছিলাম মাত্ত ৬০ টাকায় পুরো রাস্তায় কলা খেতে খেতে এসেছি।
ঝিরি পথের কিছু ছবি


Bandorbon
এক কথায়.....................


আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর হলো বান্দরবন
নিরাপত্তা নিয়ে একটু ও ভাববেন না সেনাবাহিনী এত একটিভ যে ভাবার দরকার হবেনা
কোন মেয়ে একলা গেলেও সমস্যা নেই কারণ ওখানকার সবাই জানে যদি টুরিষ্টের গায়ে একটু আছড় পড়ে তাহলে সেনাবাহনী গুল্লি করে দিবে ।আপনার নুন্যতম কিছু হলে টুরিষ্ট গাইডের খবর করে দিবে ।টুরিষ্ট গাইড আমাদেরকে যেটা বলবো যে এখানে যদি কোন টুরিষ্টের কোন ক্ষতি হয় তাহলে আর্মির মাইর মাফ নাই তাই টুরিষ্টরা সবসময় নিরাপদ ।স্যালুট আর্মি ভাইদের
Bangladesh Army


আমার একদিনেই বগালেক আর কেওক্রাডাং ঘুরে এসেছি যা ৯৯.৯৯% পারেনা কারণ এত হাটা অধিকাংশদেরই পক্ষে সম্ভব নয় তাই বগালেক এ অধিকাংশরাই ২ রাত থাকে 
রুমা বাজার হতে অবশ্যই ঝিরি পথে যাবেন নতুবা আসার সময় আসবেন ।ঝিরি পথ দিয়ে না গেলে অনেক বড় কিছু দেখা হতে বন্ঞিত হবেন ।কখন যে সময় কাটবে তা টেরই পাবেন না ।
আমাদের গাইডটা ছিলো খুবই ভালো নাম বেলাল রুমা বাজারে গিয়ে নাম বললেই হবে 


অবশ্যই যাবেন বান্দরবন খুব সুন্দর ট্যুর দিয়ে আসলাম তবে আবারও যেতে হবে কারণ পুরোটা ঘোরা হয়নি পরের বার গেলে তাজিংডং+চাপাহাফং চুড়াতে +তিন্দু +ঝিরিপথে যাবার সময় মধ্যপথে একটা লেক নাকি আছে যার চারদিকে ঝরনা পড়ে এই জায়গা গুলো অবশ্য।ই যাবো ।আমাদের মোট (ব্যক্তিগত খরচ ছাড়া)২৫০০ টাকা করে খরচ হয়েছে ।সবাই ভালো থাকবেন আর হ্যা বিদেশ দেখার আগে আমাদের দেশটা দেখুন ।
আর অবশ্যই কোন ব্যাপারে জানতে ইচ্ছা হলে কমেন্টস করবেন 
পরবর্তীতে নতুন কোন জায়গা নিয়ে লিখবো সেই পযর্ন্ত শুভ ঘুরাঘুরি

আসছে শিরোনামহীন এর নতুন অ্যালবাম শিরোনামহীণ রবিন্দ্রনাথ

ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে আসছে শিরোনামহীন এর সম্পূর্ন নতুন একটি অ্যালবাম আর এই এ্যালবামের নাম রাখা হয়েছে শিরোনামহীণ রবীন্দ্রনাথ । আগামী কয়েকদিনের মাঝেই এই অ্যালবাম মার্কেটে পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।
রবীন্দ্রসংগীতকে বেইজ ধরেই গানগুলো করা হয়েছে ।


যেসব গান এ্যালবামে থাকবে তা হলো 

  • গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির
  • সকাতরে ওই কাঁদিছে
  • শাওনগগনে ঘোর ঘনঘটা
  • ফুলে ফুলে
  • কিছু বলব বলে এসেছিলেম
  • পুরানো সেই দিনের কথা
  • যেতে যেতে একলা পথে
  • তুমি কি কেবলই ছবি
  • শুধু তোমার বানী নয় 
[নিচে লিরিকসগুলোও দিলাম]

অ্যালবামের কভারপেইজের কিছু ছবি সাম্যর সৌজন্যে দিলাম [ছবিগুলো পছন্দ হয়েছে তাই পোস্ট করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য]





গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ


গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে।
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।।
ও যে আমায় ঘরের বাহির করে, পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে
মরি হায় হায় রে।
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে; যায় রে কোন্ চুলায় রে।
ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে, কোন্খানে কী দায় ঠেকাবে–
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে ভেবেই না কুলায় রে।

সকাতরে ওই কাদিছে

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়, না মানে সান্ত্বনা।।
সুখ-আশে দিশে দিশে বেড়ায় কাতরে–
মরীচিকা ধরিতে চায় এ মরুপ্রান্তরে।।
ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা, সন্ধ্যা হয়ে আসে–
কাঁদে তখন আকুল-মন, কাঁপে তরাসে।।
কী হবে গতি, বিশ্বপতি, শান্তি কোথা আছে–
তোমারে দাও, আশা পূরাও, তুমি এসো কাছে।। ।

শাওনগগণে ঘোর ঘনগাটা


শাওনগগনে ঘোর ঘনঘটা, নিশীথযামিনী রে।
কুঞ্জপথে, সখি, কৈসে যাওব অবলা কামিনী রে।
উন্মদ পবনে যমুনা তর্জিত, ঘন ঘন গর্জিত মেহ।
দমকত বিদ্যুত, পথতরু লুন্ঠিত, থরহর কম্পিত দেহ
ঘন ঘন রিমঝিম, রিমঝিম রিমঝিম, বরখত নীরদপুঞ্জ।
শাল-পিয়ালে তাল-তমালে নিবিড়তিমিরময় কুঞ্জ।
কহ রে সজনী, এ দুরুযোগে কুঞ্জে নিরদয় কান
দারুণ বাঁশী কাহে বজায়ত সকরুণ রাধা নাম।
মোতিম হারে বেশ বনা দে, সীঁথি লগা দে ভালে।
উরহি বিলুন্ঠিত লোল চিকুর মম বাঁধহ চম্পকমালে।
গহন রয়নমে ন যাও, বালা, নওলকিশোরক পাশ।
গরজে ঘন ঘন, বহু ডর পাওব, কহে ভানু তব দাস

ফুলে ফুলে

ফুলে ফুলে ঢ'লে ঢ'লে বহে কিবা মৃদু বায় ,
তটিনী হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়।
পিক কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে কুহু কুহু কুহু গায় ,
কী জানি কিসেরই লাগি প্রাণ করে হায় - হায়।


কিছু বলব বলে এসেছিলেম

কিছু বলব বলে এসেছিলেম,
রইনু চেয়ে না বলে।।
দেখিলাম, খোলা বাতায়নে মালা গাঁথ আপন-মনে,
গাও গুন্-গুন্ গুঞ্জরিয়া যূথীকুঁড়ি নিয়ে কোলে।।
সারা আকাশ তোমার দিকে
চেয়ে ছিল অনিমিখে।
মেঘ-ছেঁড়া আলো এসে পড়েছিল কালো কেশে,
বাদল-মেঘে মৃদুল হাওয়ায় অলক দোলে।

পুরানো সেই দিনের কথা

পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়।
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।
আয় আর-একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়।
মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়।

মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়–
বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি বকুলের তলায়।
হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়–
আবার দেখা যদি হল, সখা, প্রাণের মাঝে আয়


যেতে যেতে একলা পথে

যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি।
ঝড় এসেছে ওরে ওরে, ঝড় এসেছে ওরে এবার
ঝড়কে পেলেম সাথি॥
আকাশকোণে সর্বনেশে ক্ষণে ক্ষণে উঠছে হেসে,
প্রলয় আমার কেশে বেশে করছে মাতামাতি॥
যে পথ দিয়ে যেতেছিলেম ভুলিয়ে দিল তারে,
আবার কোথা চলতে হবে গভীর অন্ধকারে।
বুঝি বা এই বজ্ররবে নূতন পথের বার্তা কবে—
কোন্ পুরীতে গিয়ে তবে প্রভাত হবে রাতি

তুমি কি কেবলই ছবি

তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।
ওই-যে সুদূর নীহারিকা
যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়,
ওই যারা দিনরাত্রি
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবি,
তুমি কি তাদের মত সত্য নও।
হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি।।
নয়নসমুখে তুমি নাই,
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই– আজি তাই
শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল।
আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল।
নাহি জানি, কেহ নাহি জানে–
তব সুর বাজে মোর গানে,
কবির অন্তরে তুমি কবি–
নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি।


শুধু তোমার বাণী নয় গো
শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়,
মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো॥

সারা পথের ক্লান্তি আমার সারা দিনের তৃষা
কেমন করে মেটাব যে খুঁজে না পাই দিশা—
এ আঁধার যে পূর্ণ তোমায় সেই কথা বলিয়ো॥

হৃদয় আমার চায় যে দিতে, কেবল নিতে নয়,
বয়ে বয়ে বেড়ায় সে তার যা-কিছু সঞ্চয়।
হাতখানি ওই বাড়িয়ে আনো, দাও গো আমার হাতে—
ধরব তারে, ভরব তারে, রাখব তারে সাথে,
একলা পথের চলা আমার করব রমণীয়

সবশেষে শিরোনামহীণের গাওয়া একটা রবীন্দ্রনাথ সংগীত দিলাম


আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের ।আর হ্যা অবশ্যই মন্তব্য করে শিরোনামহীণ এর নতুন কনসেপ্ট সম্পর্কে আপনার অভিমত জানাবেন ।

[দয়া করে সবাই কিনে এ্যালবাম ব্যবহার করবেন একটা এ্যালবামের দাম ৫০ টাকা আর আমরা অণেকেই ৫০ টাকা একদিনেই শুধু মোবাইলের পিছনেই ব্যায় করে ফেলি তাই অনুরোধ রইলো শিল্পের যথাযথ সম্মান করুন]

বন্ধু দিবস উপলক্ষে হাবিবের গাওয়া একটা গান শেয়ার করলাম

আজকে হাবিবের একটা আনরিলিজড গান পেলাম এটা নাকি বন্ধু দিবস উপলক্ষে জিপির সৌজন্যে গাওয়া গান ।আমি ঠিক বুঝতেছিনা এই বন্ধু দিবসটা কবে ??সামনে আসতেছে নাকি চলে গেছে ??গুগলে সার্চ দিলেই হয় কিন্তু সার্চ করতে যে ইচ্ছা করতেছে না ।

যাই হোক গানটা ভালোই লাগলো তাই ভাবলাম শেয়ার করি

যদি দেখতে চাও আলো এই পথের শেষ প্রান্তরে হাতে হাত ধরো বন্ধু স্বপনটা রেখো অন্তরে 
যদি আধার ঘন রাতে পথ খুজে না পাও তুমি, বাড়িয়ে দিও হাত বন্ধু যেনো আচি এই  আমি 

গানটা মাত্ত ৩ মিনিট আর সাইজও ৩ মেগার মতো ঝটপট ডাউনলোড করে নিন আশা করি ভালো লাগবে ।

Kung Fu Panda:আমার সবচেয়ে প্রিয় মুভি

প্রথম থেকেই আমি এ্যানিমেশন মুভির হার্ডকোর ফেন ।এ্যানিমেশন মুভি রিলিজ পেলেই তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেখার চেষ্ট করি ।আর এতদিন যত মুভি দেখিছি তার থেকে আমার লাইফটাইম ফেভারিট একটা মুভি হলো Kung Fu Panda  মুভিটা আমি এতবার দেখিছি যে এর প্রতিটা লাইনই আমার মুখস্ত হয়ে গেছে আমার মোবাই্লেও কনভার্ট করে টান্সফার করে নিয়েছি যখন দেখার ইচ্ছা হয় দেখা শুরু লোডশেডিং হলে কোন সমস্যা নাই মোবাইলে আছে Kung Fu Panda ।

নিজের সাইটে/সার্ভারে ওয়ার্ডপ্রেস সেটাপ করুন একদম সহজেই

আমি যখন ওয়ার্ডপ্রেস জানতাম না তখন ভাবতাম মনে হয় ওয়ার্ডপ্রেস সেটাপ অনেক কঠিন কিন্তু একদিন সময় করে বসে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে সেটাপ দেয়ার চেষ্টা করলাম তখন বুঝলাম এর চেয়ে সহজ কাজ আর নেই।আশা করি আপনারা খুব সহজেই ওয়াডর্প্রেস আমার এই টিউটোরিয়ালটি দেখে দেখে সেটাপ করতে পারবেন তাহলে চলুন শুরু করি
wordpress
  • প্রথমেই এই লিংক হতে ওয়ার্ডপ্রেস এর লেটেস্ট ভার্সনটি ডাউনলোড করে নিন তারপর আনজিপ করুন
  • এবার যেকোন এফটিপি সফটওয়্যার দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ফোল্ডারের ভিতরে থাকা সবগুলো ফাইল আপনার ওয়েবসাইটের /public_html/ এখানে আপলোড করুন ।যদি এফটিপি দিয়ে সম্ভব না হয় তাহলে পুরো জিপ ফাইলটা সরাসরি আপলোড করুন তারপর সেখানে আনজিপ করে রাখুন তারপর জিপ ফাইলটা ডিলিট করে দিন ।
  • এখন আপনাকে Mysql এ একটা ডাটাবেজ এবং ইউজার তৈরী করতে হবে তারপর ইউজারকে ডাটাবেজ ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে।এইখানে অনেকেই ভাবে আমিতো mysql পারিনা । এটা একদম সহজ একটা কাজ, আপনি শুধু আমাকে অনুসরন করুন ।
  • প্রথমেই আপনার ওয়েবসাইটের C panel এর Mysql database এ ক্লিক করুন তারপর নিচের ছবির মত বক্স দেখতে পাবেন এবার এখানে আপনার পছন্দমত যেকোন একটি নাম দিন ।মনে করুন আমি নাম দিলাম mamun তাহলে mamun নামে একটি ডাটাবেজ তৈরী হবে

  • এবার আমাদের নতুন ইউজার অ্যাড করতে হবে এজন্য মাউসটি স্কোল করে নিচের দিকে নিন তাহলে নিচের ছবির মত দেথতে পাবেন এবারআপনার পছন্দমত নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে একটি নতুন ইউজার অ্যাড করে নিন



  • এবার আমরা এই ইউজারকে ডাটাবেজ ব্যবহারের অনুমতি দিবো এজন্য Add user to Database এর User বক্সে আপনার অ্যাড করা ইউজারের নাম সিলেক্ট করুন তারপর Database এ আপনার যোগ করা ডাটাবেজ সিলেক্ট করে ADD এ ক্লিক করুন নতুন একটি উইন্ডো আসবে এখানে সবগুলো সিলেক্ট করে দিন আরেকটা কথা এইখানে আপনার ডাটাবেজ এবং ইউজার নামের আগে আপনার হোস্টিং এর ইউজার নামও দেখতে পাবেন সুতরাং চিন্তার কোন কারন নেই।ব্যাস কাজ শেষ ডাটাবেজের।
  • এবার আপনার সাইটের নামটি/ডোমেইনটি যেকোন ব্রা্উজারে লিখে এন্টার চাপুন এখন আমরা কিছু কনফিগারেশন করবো।Configure এ ক্লিক করুন তারপর নিচের মত ফরম আসবে আপনার তৈরী করা ডাটাবেজ ,ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিন আর বাকীগুলো পরিবর্তনের দরকার নেই সাবমিট করুন




  • এবার আপনার ব্লগের টাইটেল আর ইমেল ঠিকানা দিয়ে Install wordpress এ ক্লিক করুন

ব্যাস আপনার কাজ শেষ ইন্সটল হবার পর আপনার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দেখাবে ।
কোন সমস্যা হলে অবশ্যই মন্তব্য দিয়ে জানাবেন । সবাই ভালো থাকুন আর ব্লগার মামুনের সাথেই থাকুন 

এই চুলের স্টাইলের মাজেজা আজও বুঝলাম না

যখনই আমি টিভিতে এই লোকটাকে দেখি তখনই আমার চোখ সরাসরি উনার কানের কাছে যে চুলের চিপ থাকে সেখানে চলে যায় এইরকম স্টাইলিশ চুলের  স্টাইল আমি এর আগে দেখিণি
atn bangla chairman Mahfuzur rahman

চুলের চিপ কেউ কানের উপরে এইভাবে কাটে আমি এর আগে দেখিনি।আপনাদের মতামত জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

মেয়েটির সামনে অপেক্ষা করছে কয়েকজন মানিব্যাগ তরুণ আর ছেলেটির সামনে অপেক্ষা করছে একটি পুরো অনাহারী মাস

আজকে সকালে একটা মার্কেটে গেলাম গেন্জি কিনতে তারপর কয়েকটা দোকান দেখার পর একটা গেন্জি পছন্দ হলো গেন্জিটার মধ্যখানে বড় করে ব্লক বসানো আছে কিনে ফেললাম কিনার পর খেয়াল করলাম গেন্জিতে একটা কবিতা লেখা আছে মুলত কবিতাটার আবহ আনার জন্যই বাকী ব্লকটা বসানো হয়েছে। কবিতাটাও মজার আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম

ছেলেটি মেয়েটি
             –তারেক মাহমুদ
মেয়েটি ছেলেটিকে পটাচ্ছে
ছেলেটি পটছে
সামনে একটা ফাস্টফুডের দোকান
মেয়েটি ছেলেটিকে নিয়ে সেখানে গিয়ে বসলো
ডেস্কের নিচে ছেলেটির পা ছুয়ে দিলো মেয়েটির পা
হাত দিয়ে ছুয়ে দিলো ছেলেটির গাল
চাকুরে ছেলেটি আজ মাইনে পেয়েছে
তার পকেট খালি হচ্ছে
কিছুক্ষণ পর তারা ফাস্টফুট শপ থেকে বেরিয়ে এলো
সামনে একটি জুয়েলারীর দোকান
মেয়েটি ছেলেটিকে নিয়ে সেখানে ঢুকলো
কিছুক্ষণ পর তারা বেরিয়ে এলো
বেরিয়েই মেয়েটি আশ্চর্যভাবে বলে উঠলো
ও হো একটা জরুরী কাজের কথা মনে পড়ে গেলো
আজ নয় লক্ষীটি আরেকদিন প্লিজ
বলেই মেয়েটি একটা স্কুটারে উঠে পড়লো
উঠেই মেয়েটি ছেলেটিকে বললো
তোমার কাছে খুচরো হবে খুচরো
ছেলেটি নিশ্চয়ই বলে স্কুটারের ভাড়া দিয়ে দিলো
স্কুটার মেয়েটিকে নিয়ে সাই সাই করে ছুটে চললো
মেয়েটির সামনে অপেক্ষা করছে কয়েকজন মানিব্যাগ তরুণ
আর ছেলেটির সামনে অপেক্ষা করছে একটি পুরো অনাহারী মাস

মোবাইল দিয়ে তোলা ছবিকে আরও উন্নত করতে কিছু মোবাইল ফটোগ্রাফী টিপস

এখনকার যুগে অধিকাংশ মানুষের সাথেই সবসময় মাল্টিমিডিয়া মোবাইল থাকে আর তাই যেখানে সেখানে যাই ইন্টারেস্টিং লাগে আমরা ক্যামেরাতে তা তুলে নিয়ে আসি।

আমার মতো সামর্থ্যজনিত কারণেই হোক বা অন্য কারণেই হোক অধিকাংশদেরই ভালো ডিজিটাল ক্যামেরা নাই তাই মোবাইলই আমাদের শেষ ভরসা ।

আর তাই মোবাইল দিয়েই কি করে ভালো ছবি তুলা যায় তার কিছু টিপস আজকে তুলে ধরলাম[নিজস্ব কোন পরার্মশ থাকলে মন্তব্য করে জানাবেন]
  • যারাই মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে তাদের সবচেয়ে বড় ভুল যেটা করে তা হলো ছবিতে ঠিকমত সাবজেক্টকে ফোকাস করেনা যেমন ধরুন আপনি আপনার চাচাতো ভাই্য়ের ছবি তুলেছেন তোলার পর দেখা গেলো সেখানে গাছগাছালী,বাড়ীঘর বেশি দেখা যাচ্ছে আপনার চাচাতো ভাইকে খুজেই পাওয়া যাচ্ছেনা ।তাই ছবি তোলার সময় সাবজেক্টকে ঠিকমত ফোকাস করবেন এবং যতটা সম্ভব কাছ থেকে ছবি নিবেন তাহলে সহজেই ভালো ছবি পাবেন
  • মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার সময় মোবাইলটিকে কোন প্রকার নাড়াচাড়া করবেন না তাহলে ছবি ভালো আসবেনা ।
  • খুব প্রয়োজন ছাড়া কখনোই ডিজিটাল জুম অপশনটি ব্যবহার করবেন না জুম ব্যবহারে ছবির কোয়ালিটি ভালো থাকেনা 
  • ছবি তুলার সময় সবোর্চ্চ রেজুলেশন ব্যবহার করুন যেমন আমি আমার নকিয়া এন৭৩[৩.২মেগাপিক্সেল] দিয়ে ছবি তুলার সময় ২০৪৮*১৫৩৬ সবোর্চ্চটাই ব্যবহার করি 
  • অনেক মোবাইলেই হোয়াট ব্যালেন্স নামে একটা অপশন থাকে যার কাজ আপনি কোন আবহাওয়াতে ছবি তুলছেন তা সিলেক্ট করে দেওয়া সারারণত এটা অটোমেটিক অপশনে থাকে এর বিভিন্ন অপশনগুলো পরিবর্তন করে দেখুন ছবিতে কিছুটা পরিবর্তন পাবেন ।
  • ছবি তুলার পর পিসিতে নিয়ে কিছুটা ইডিটিং করলে ছবির মান অনেক ভালো পাবেন ।

এবার আসুন ক্যামেরার ভিতরের কিছু অপশন নিয়ে আলোচনা করি

অধিকাংশ ক্যামেরা ফোনেই আপনি কোন মুডে ছবি তুলবেন সেটা সিলেক্ট করে দেওয়া যায় কিন্তু দু:জনক হলেও সত্যি আমি নিজে ব্যবহার করার আগে এই অপশনগুলো কাউকে ব্যবহার করতে দেখি নাই কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো এই অপশনগুলো ব্যবহার করলে ছবির কোয়ালিটির অনেক প্রার্থক্য হয় যা নিজে ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন

আমার নকিয়া এন ৭৩ তে কোন মুডে ছবি তুলবেন তা সিলেক্ট করে দেওয়া যায় ।নিচে দেখুন আমার মোবাইল ক্যামেরাতে কি কি মুডে ছবি তুলা যায় আপনার মোবাইলে চেক করে দেখুন এই অপশনগুলো আছে কিনা ।



  • প্রথমেই দেখুন Auto Mode বাই ডিফল্ট আপনি সবসময় এই মুডেই ছবি তুলেন ।সবসময় এই মুডটাই অটো সিলেক্ট থাকে 
  • দ্বিতীয়টা হলো User Defined মানে কোন ব্যবহারকারীর জন্য আলাদা সেটিংস সেভ করে রাখা
  •  Close up মুড কোন ছোট বস্তুকে ক্যাপচার করার জন্য এইটা ব্যবহার করা হয় মনে করুন আপনি কোন তেলাপোকা বা ফুলের ছবি তুলবেন তাহলে অবশ্যই এই অপশনটা সিলেক্ট করে তুলবেন সোজা বাংলায় বললে এই অপশনটা ব্যবহার করে সামনের সাবজেক্টটাকে ফোকাস করা হয় এবং পিছনটা ঘোলা হয়ে যায় ।নিচে দেখুন ক্লোজ আপ মুডে তুলা আমার একটা ছবি ।



  • Portrait অপশনটা ব্যবহার করবেন যখন আপনি কোন সাবজেক্টকে সবোর্চ্চ প্রাধান্য দিবেন উদাহরণ দিলে পরিষ্কার বুজবেন যেমন আপনি যদি কোন ব্যক্তি বা প্রানীর ছবি তুলেন তাহলে কিন্তু ছবিতে ব্যক্তিটাই সবচেয়ে প্রাধান্য পাবে তাই কারো ছবি তুলতে অবশ্যই অবশ্যই এই এই অপশনটা সিলেক্ট করবেন তারপর ছবি তুলবেন ।
  • landscape অপশন দিয়ে তখনই ছবি তুলবেন যখন আপনি কোন বড় মাঠ ,নদী অথার্ৎ যে ছবিতে বিশাল জায়গা প্রাধান্য দিয়ে ছবি তুলবেন মানে প্রাকৃতিক ছবি তুলবেন তখন এই অপশনটা সিলেক্ট করবেন নিচের ছবিটা দেখুন



  • Sports অপশন টা ব্যবহার করা হয় তখনই যখন কোন চলন্ত কোন কিছুর ছবি তুলা হয় মনে করুন উড়ন্ত পাখির ছবি তুলবেন বা চলন্ত গাড়ীর ছবি তুলবেন তাহলে এই অপশনটা ব্যবহার করবেন না হয় ছবিই তুলতে পারবেন না 
  • এবার আসুন Night মুড রাতের বেলা যখন ছবি তুলবেন তখন এই মুডে ছবি তুলবেন আরেকটা অপশন আছে Night Portait নিচের ছবি দুইটা দেখুন একটা অটো মুডে তোলা আর আরেকটা নাইট প্রোটেইট এ তোলা


রাতের বেলা কারো ছবি তুলতে নাইট পোট্রেট অপশন দিয়ে ছবি তুলবেন ।প্রার্থক্য একেবারে হাতে হাতে পাবেন ।

এই অপশনগুলো অধিকাংশ মোবাইল ক্যামেরাতেই আছে তবে নামে সামান্য তফাৎ থাকতে পারে ।আর হ্যা ছবির ধরণ অনুযায়ী অবশ্যই অবশ্যই মুড সিলেক্ট করে ছবি তুলবেন ভালো ছবি পাবেন নিশ্চিত থাকুন

আশা করি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে ।আর কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন ।
আর আমার নকিয়া দিয়ে তোলা ছবিগুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ফেসসবুকের বান্ধবীর সাথে অভিমান করে আত্নহত্যা !!!!

খবরটা পড়ে আর শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না ।মানুষ কত বড় ছাগল হতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ।

ফেসবুকের বান্ধবীর সাথে অভিমান করে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার নাম রাহিম ইবনে হাশেম বয়স মাত্ত ২০ বছর।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রাহিম তাদের ভাড়া বাসা ধানমন্ডির ৯ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়ির নিচতলায় তার বেড রুমের সাথে সংযুক্ত বাথরুমের ঝর্নার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। বাথরুমের ছিটকানি ভেঙে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে রাত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা আব্দুল হাশেম। পরে পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, রাহিম তার ফেসবুকের বান্ধবীর সাথে যে কোন বিষয় নিয়ে চরম অভিমান করে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।

মানুষ কত বড় বোকা হতে পারে তার উদাহরণ ।একই সাথে অতি ফেইসবুক এ্ডিক্টেডেট ব্যাপারটাও সামনে এসে গেলো আরেকবার ।

[খরবটি দৈনিক করতোয়ার সৌজন্যে]

অবশেষে অভ্র থেকে সরিয়ে নেয়া হলো ইউনিবিজয় লেআউট

অবশেষে অভ্র তাদের নতুন ভার্সন অবমুক্ত করার মাধ্যমে কাগুর দাবি করা ইউনিবিজয়কে সরিয়ে নিলো অভ্র সফটওয়্যার থেকে ।


আজকেই রিলিজ করা হয়েছে অভ্রর নতুন ভার্সন Version: 4.5.3 আর এতে বাদ দেওয়া হয়েছে কাগুর বিজয় কিবোর্ডের লেআউট ।তবে নতুন দুটি কিবোর্ড Probhat and Munir Optima যুক্ত করা হয়েছে অভ্রতে।

অনেকেই জানেন অভ্র আর কাগুর মাঝে সমোঝতার অংশ হিসেবেই ইউনিবিজয়কে বাদ দেওয়া হয়েছে অভ্র হতে এই সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি দেখুন Click This Link

নতুন ভার্সনে যেসব বিষয় ফোকাস পেয়েছে

  • ইউনিবিজয় লেআউট বাদ দেওয়া হয়েছে 
  • প্রভাত এবং মুনির নামে নতুন দুটি লেআউট যুক্ত করা হয়েছে 
  • উইন্ডেজ সেভেন এর সাথে চলতে মাঝে মাঝে যে সমস্যা দিতো তা ঠিক করা হযেছে ।
  • অটো আপডেট চেক বন্ধ করা হয়েছে


যারা ইউনিবিজয় ব্যবহার করেন তাদের নতুন ভার্সনে আপডেট করতে চান তারা নতুন ভার্সনে কি করে ইউনিবিজয় ব্যবহার করবেন জানতে এই পোস্টটি দেখুন

অভ্রের নতুন ভার্সনে ইউনিবিজয় ব্যবহার করবেন যেভাবে !!!

আজ ২০ শে আগস্ট।
আজকেই রিলিজ করা হয়েছে অভ্রর নতুন ভার্সন Version: 4.5.2 আর এতে বাদ দেওয়া হয়েছে কাগুর বিজয় কিবোর্ডের লেআউট ।তবে নতুন দুটি কিবোর্ড Probhat and Munir Optima যুক্ত করা হয়েছে অভ্রতে।


অনেকেই জানেন অভ্র আর কাগুর মাঝে সমোঝতার অংশ হিসেবেই ইউনিবিজয়কে বাদ দেওয়া হয়েছে অভ্র হতে এই সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি দেখুন Click This Link

কিন্তু অনেকেই আমার মতো ইউনিবিজয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাই নতুন ভার্সনে অনেকেই ঝামেলায় পড়বেন ।
কিন্তু আপনি ইচ্ছা করলেই অভ্রর নতুন ভার্সনে ইউনিবিজয় ব্যবহার করতে পারেন ।কিভাবে ??


  • প্রথমে বর্তমান ভার্সনটি যেখানে ইন্সটল করা আছে যেখানে যান মানে সি ড্রাইভের যেখানে ইন্সটল করা আছে যেখানে যান Avro ফোল্ডারে প্রবেশ করুন এবার Layout ফোল্ডারে প্রবেশ করুন UniBijoy.avrolayout ফাইলটি কপি করে রাখুন অন্য কোথায়।
  • এবার অভ্রর নতুন ভার্সনটি ইন্সটল করুন তারপর যেখানে ইন্সটল করেছেন সেই ফোল্ডারে গিয়ে Layout ফোল্ডারে প্রবেশ করুন তারপর কপি করে রাখা UniBijoy.avrolayout এখানে পেস্ট করুন ।
  • অভ্র সফটওয়্যারটি রিস্টার্ট করুন
  • ব্যাস কাজ হয়ে গেলো ।
  • আপনি যদি বর্তমান ভার্সন হতে সরাসরি আপগ্রেড করেন তাহলে এইসব করা লাগবেনা ইউনিবিজয় লেআউটটি আগে থেকেই পাবেন কিন্তু যদি প্রথমে আনইনন্সটল করেন তারপর আবার ইন্সটল করেন তাহলে লেআউটটি কপি পেস্ট করা লাগবে ।

যদি কেউ কখনো এই ইউনিবিজয় লেআউটটি হারিয়ে ফেলেন তাহলে এখান হতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন
অভ্র সফটওয়্যারটি এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন

কোন সমস্যা হলে কমেন্টস এর মাধ্যমে জানাতে দ্বিধা করবেন না ।

লেখাটি শেয়ার করুন