আপনার মোবাইলে ব্রাউজার দিয়েই ডাউনলোড করুন ৪০০-৭০০ মেগাবাইট সাইজের মুভিগুলো



[পাঠকের সুবিধার্থে  পোস্টের শুরুতেই বলি আমরা পিসিতে  যে ৪০০-৭০০ মেগাবাইটের সাইজের যে মুভিগুলো ডাউনলোড করি আমি সেগুলোই মোবাইল দিয়ে ডাউনলোড করি]
 
আমার মতো অনেকেরই মুভি ডাউনলোড করার অভ্যাস/বদঅভ্যাস আছে ,প্রতিদিন অন্তত একটা মুভি ডাউনলোড করা চাই চাই । আবার অনেকেই আছে যাদের ইচ্ছা আছে ডাউনলোড করার কিন্তু নেটের শম্ভুক গতি আর ধৈর্য্যহীন হবার কারণে ডাউনলোড করতে চায়না ,একটা মুভি ডাউনলোড করতে মিনিমাম ৪-৫ ঘন্টা লেগেই যায় ,এত দীর্ঘসময় পিসি অন রাখা অনেকের কাছে বিরক্তিকর যাই হোক আমি কিন্তু ধৈর্য্যহীনদের গ্রুপেই ছিলাম ধুর রাতে ডাউনলোড দেই মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে  দেখি ডাউনলোড বন্ধ হয়ে গেছে এই রকম হাজারো ঝামেলা মাঝে মাঝে ভাবতাম ইশ মুভিগুলো যদি মোবাইলে ডাউনলোড দিতে পারতাম তাহলে একেতো বিদ্যুৎ বাচতো তার উপরে ঝামেলা অনেকটাই কমতো ।

ঘুরে আসুন কক্সবাজার সেন্টমার্টিন আর ছেড়াদ্বীপ [ ভ্রমন ব্লগ পার্ট ১]

জম্পেশ শীতের মাঝে মানুষ যখন নিজের পরিবার অথবা নব বিবাহিতরা তাদের নবপরিনীতাদের নিয়ে সমুদ্র দেখতে যায় তখন আমরা ৫ ধইনচা হাড় কাপানো শীতের রাতে ট্রেনের লেইট সমাচার শুনে ট্রেনের টিকিটগুলো কাউন্টারে ফেরত দিয়ে চিটাগাং এর বাস ধরার জন্য রাত ১০ টার দিকে কুমিল্লার নুরজাহান
ভাই ব্রাদাররা বাসের জন্য অপেক্ষারত

হোটেলের সামনে দাড়ালাম এবং দুই ঘন্টা লেইটে শ্যামলির বাস ধরলাম সরাসরি কক্সবাজার নামাবে ভাবলাম সকাল ৭/৮ টার ভিতরে পৌছতে পারলে মহেশখালী এলাকাটা দেখবো কিন্তু গরিবের কপালে কি এত সুখ সহ্য হয় ,রাস্তায় জ্যাম আর বাসের শম্ভুক গতির কল্যাণে সকাল ১১ টায় পৌছলাম তাই মহেশখালি যাবার প্ল্যান বাতিল ঘোষনা দিলাম ।

কেন আমি জেগে থাকবো ,আর সে স্বপ্ন দেখবে

 কেন আমি জেগে থাকবো?

আমাকে এভাবে স্বপ্ন থেকে করে আলাদা
জানিনা কোথায় লুকিয়ে রয়েছে খোদা 

জানিনা কবে হয়েছি নিজের থেকে আলাদা
কিভাবে বাচবো,রুহ যে আমার থেকে আলাদা

কেন আমার সত্তা 
আমাকে জিজ্ঞাস করে আমার গন্তব্য কোথায়
কেন আমার কাছে এসে
আমাকেই জিজ্ঞাস করে আমার দ্বার কোথায়  

লক্ষ্যটাই এমন যার কোন গন্তব্য নাই,
আমাকে খুজো? আমি সেখানেই থাকি এখনও 

মন এক জায়গায় শ্বাস আরেক জায়গায়
শ্বাস আছে , কিন্তু জীবিত আমি নেই

রাত জেগে আমি ভাবি 
হয়তো কোনদিন তোমাকে আমি পাবো
হঠাৎ মনে হয় 
তুমি কি এখনও আমাকে ভাবো?

আমার হাতেই আমরা জীবন চলে গেছে
ভাগ্য আমার নষ্ট হয়ে গেছে 

কিভাবে লিখবো আবার নতুন কাহিনী
কষ্ট যে আমি আমার দেখিনা

কি এমন ভুল করেছি যে
তুমি আমাকে দিয়েছো জীবন ভর সাজা

 লক্ষ্যটাই এমন যার কোন গন্তব্য নাই
আমাকে খুজো? আমি সেখানেই থাকি এখনও
  


মন একজায়গায় শ্বাস আরেক জায়গায়
শ্বাস আছে  কিন্তু জিবিত আমি নেই

কেন আমি জেগে থাকবো আর সে স্বপ্ন দেখবে
কেন আমার ভাগ্য এমন ,আমি চোখ খুলে শুয়ে থাকবো 

আমাকে এভাবে স্বপ্ন থেকে করে আলাদা
জানিনা কোথায় লুকিয়ে রয়েছে খোদা 

এই গান/কবিতাটির মুল ভাব সাফাকাত আমানত আলীর হিন্দি গান কিউ মে জাগো থেকে নেওয়া হয়েছে । আমি আমার ইচ্ছামত বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন করেছি 

ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ৩]

ছবিতে ছবি ঘুরে আসুন বান্দরবন পর্বের শেষ পর্ব আজকে প্রকাশ করলাম । এই পর্বের সব ছবিই আমার প্রিয় বান্দববনের আরও প্রিয় জায়গা ঝিরিপথের । অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ঝিরিপথটা আবার কি? ঝিরিপথ হলো বনের মধ্যদিয়ে ঝরনার পানির প্রবাহের  ফলে যে পথ সৃষ্টি হয় সেটাই ঝিরিপথ । এই ঝিরিপথটা আমার সবচেয়ে প্রিয়,মরতে চাইলেও এখানে মরতে রাজি । লম্বা ঝিরিপথটা ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ তবে আপনি হাটার সময় কখন রাস্তা ফুরিয়ে যাবে তা খেয়ালই থাকবেনা
চলুন ঝিরিপথ দিয়ে ভ্রমণ শুরু করি .........

ঝিরিপথের শুরুর দিকে আমরা সবাই
এমন সৌর্দয্যের দেখা পাবেন ঝিরিপথে ,এই রাস্তা দিয়েই হেটে যেতে হবে আপনাকে
সব রাস্তা কিন্তু আনন্দের না এইরকম বিপদজনক পিচ্ছিল রাস্তাও পাবেন

এইরকম একটা বড় ঝরনা পাবেন ,পানিতে নামতে ভুলবেন না তাহলে মজার অর্ধেকটাই শেষ

 (মিডিয়ার সামনে আসতে চাচ্ছিনা এজন্য ফটুতুলতে নিষেধ করতেছি হাহাহাহা)

ঝিরিপথে আমরা 

পাহাড়ের মধ্যদিয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে হবে

এইরকম ছোট ছোট কয়েকটা ঝরনা দেখতে পাবেন রাস্তায়

নদী পাড় হতে হবে নদীর মধ্যদিয়ে হেটে

অসাধারণ .......................
অসাধারণ সব রাস্তা .....
ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ১]
ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ২]

আমার সাথে আমার বাবার চিরচরিত টকশো [বাস্তব গল্প]

গল্পের পটভূমি :গড় হিসেব করলে প্রতি মাসে অন্তত একদিন হলেও রাতে আমি বাসার বাইরে থাকি ,হয়তো কোন সামাজিক অনুষ্ঠান  নতুবা কোন বন্ধুর বাসা খালি রাতে সবাই মিলে আড্ডা দিবো নতুবা বন্ধুবান্ধবরা মিলে দুরে কোথাও গিয়ে রাতে বারবি কিউ পার্টি করবো 

কিন্তু বাসার বাইরে থাকলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা যেটা হয় সেটা হলো তারপরের দিন সকালবেলা আমার বাবার মুখোমুখি হওয়া কারণ আমার বাবা কখনো রাতে বাইরে থাকার অনুমতি দেয়না সেজন্য আমিও আম্মাকে বলে চুপিচুপি বাসা থেকে হাওয়া হয়ে যাই আর সকালে আমি এসে চুপি চুপি বাসার কলিংবেল এর বদলে আস্তে আস্তে নক করি এবং দোয়া করি যাতে আবার বাবা বাসার বাইরে থাকে বাইরে থাকলে আপাতত বিপদ মুক্ত আর বাসায় থাকলে অধিকাংশ সময়ই দেখি, না হয় সকালের নাস্তা খাবার জন্য টেবিলে না হয় মাঝের রুমে মানে আমি যে রুমের মধ্যদিয়ে আমার নিজের রুমে যাই সে রুমে পেপার পড়ছে । আর সেক্ষেত্ত আমার বাবার সাথে যে কথাবার্তা হয় সেটা ঠিক এরকম..........


বাবা : রাতে কই ছিলি ?
আমি: গলা একদম নিচে নামিয়ে জ্বী এক বন্ধুর বাসায় 
বাবা: বন্ধূর বাসায় কি ?
আমি: হুম এমনিই [গলা এবার আরও নিচে]
বাবা: তোমার এত বন্ধূবাধব কেন ?
আমি :বন্ধূবান্ধব থাকা লাগেনা
বাবা: আমারে বইল্যা গেছস ?
আমি : হুম [এই হুম আমি ছাড়া আর কেউ শূনতে পায়না]
বাবা: নষ্ট হইয়া গেছস 
আমি : হুম 
বাবা: খারাপ হইয়া গেছস  
আমি :হুম
বাবা:পড়ালেখা নাই ?
আমি:হুম 
বাবা:আমার সব জমিজমা বিক্রি কইরা খাবি ।
আমি:হুম 
বাবা:আমি কষ্ট কইরা সব বানাইয়া দিয়া যাইতাছি তোমরা বিক্রি কইরা কইরা বউ নিয়া ঘুরবা 
আমি : হুম 
বাবা:নামাজ পড়ছস ?
আমি:হুম না
বাবা: আজকের থাইক্যা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শূরু করো 
আমি :হুম 
বাবা:  ভবিষ্যতে আর কোনদিন আমারে না বইল্যা বাইরে থাকবানা ,কথাটা যেন মনে থাকে,আজকের মতো আর কিছু বললাম না
আমি :আচ্ছা [আমি ছাড়া আর কেউ শুনতে পায়না ]


আমি আবারও আমার বাবাকে না বলে রাতে বাইরে থাকি আবার সেই একই কথা এবং কথার শেষে ভবিষ্যতে আর কোনদিন আমারে না বইল্যা বাইরে থাকবানা ,কথাটা যেন মনে থাকে,আজকের মতো আর কিছু বললাম না:)

[আমার বাবা বাইরে থাকতে দেয়না এজন্য যে উনার ধারনা বাইরে থাকলেই ছেলেরা খারাপ হয়ে যায় কিন্ত আমি আমার কাছে একদম স্বচ্ছ শুধুমাত্ত নির্মল আনন্দের জণ্যই মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে রাতে বাইরে থাকি]

ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ২]

ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন ছবি ব্লগ পার্ট ১ দেখতে এখানে ক্লিকান
প্রথম পোস্টে আমরা মেঘলাতে গিয়ে থেমে গিয়েছিলাম আজকে আমরা মেঘলার পরে নিলাচল থেকে শুরু করবো দেখা যাক আজকে কতদুর যাওয়া যায় 

মেঘলা থেকে নিলাচল যাবার পথে সামান্য সময়ের জন্য বিরতি (পুলাপাইনের দল মানুষ হইলিনা সব ছাদের উপরে)

যাক অবশেষে নিলাচলের প্রবেশ পথ খুজে পেলাম
একদিকে রোদ আরেকদিকে ছায়া,একদিকে মেঘ রোদের খেলা আরেকদিকে বৃষ্টি (বৃও দেওয়া অংশটিতে শুধু বৃষ্টি পড়ছে আর কোথাও বৃষ্টি নেই )

নিলাচলের উপর থেকে

নিলাচল পাহাড়ের উপরে হেলিপ্যাড(আর্মি ভাইদের জন্য)



নিলাচল পর্ব শেষ করে এবার আসলাম শৈলপ্রপাত
শৈলপ্রপাত যাবার পথে মাঝির শত নিষেধ সত্তেও আবার সবাই নৌকার ছাদে (ছাদ ভাইরাসে আক্রান্ত)
রুমা বাজার থেকে বগালেক যাবার পথে আবারও চান্দের গাড়ীর ছাদে । যাবার রাস্তা এতই ভয়ংকর যে আমি মনে মনে লা ইলাহা...ইয়া খোদা বাচাও আমারে বলা শুরু করে দিয়েছি পুরা রাস্তায় আমি আল্লাহ আল্লাহ করে কাটিয়েছি
রুমা বাজার থেকে বগালেক যাবার পথে হাটার রাস্তায়(আমাদের বাহিনীর ২নং রোগ যেখানেই যাবে হাতে লাঠি চাই)


ওরে বাপস !!! ধণ ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা...............গানটা না গেয়ে থাকতে পারলাম না
বগালেকে আমাদের থাকার জায়গা


এই সেই বগালেক (সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে ঝোকের মাথায় খাড়া এক পাহাড়ে উঠে গিয়ে এই ছবি তুলেছিলাম পরে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে আল্লাহ আল্লাহ করে পাহাড় থেকে নেমে এসেছি যদি সামান্য উল্টাপাল্টা হতো তাহলে সরাসরি বগালেকে)

বগালেকের সুযার্স্ত

আগামী পর্বে আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ঝিরিপথ নিয়ে ছবি ব্লগ দেবো 
সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ

Coke Studio: আমার দেখা সেরা স্টুডিও কনসার্ট

Coke Studio সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি আমার ভাইয়ের এক বন্ধুর মাধ্যমে ,উনি একদিন এসে আমাকে বললেন ,মামুন তুমি আমাকে কিছু ভিডিও ডাউনলোড করে দাও Coke Studio এর । আমি বললাম Coke Studio জিনিসটা আবার  কি ? উনি বললেন পাকিস্তানের একটা মিউজিক্যাল প্রোগাম যাতে পাকিস্তানি মিউজিক রথি মহারথিরা গান করে এবং তোমার প্রিয় রাহাত ফাতেহ আলি খানও গান করেছে এবং অসাধারণ একটা প্রোগাম । কিছু গান ডাউনলোড করে দেখি আসলেই অসাধারণ ,এক কথায় বলতে পারি আমার দেখা সেরা স্টুডিও কনসার্ট 

 Coke Studio হলো পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত খুবই জনপ্রিয় একটি স্টুডিও কনসার্ট এবং বর্তমানে Coke Studio এর সিজন ৩ চলছে  । ২০০৮ এর সালে প্রথম Coke Studio প্রচারিত হবার পর এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে প্রতিবছর Coke Studio এর নতুন নতুন পর্ব প্রচারিত হচ্ছে আর প্রতি পর্বেই পাকিস্তানি মিউজিকের রথি মহারথিরা অংশগ্রহণ করছে


Coke Studio তে মূলত প্রথাগত দেশীয়  মিউজিক,ওয়েস্টার্ন মিউজিক আর আধুনিক মিউজিক এর সংমিশ্রন করা হয়েছে আর এতেই মিউজিকের নতুন প্লার্টফরম সৃষ্টি হয়েছে এবং পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ,নিচের মিউজিক ভিডিওটি দেখলে একটা ধারণা পাবেন 
 

আরও কিছু মিউজিক ভিডিও দিলাম নিচে 







 





Coke Studio এর সবকিছু মানে সবগুলো গানের ভিডিও অডিও আর ওয়ালপেপার ডাউনলোড করতে ভিজিট করতে পারেন কোক স্টুডিওর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট 
 অথবা ভিজিট করুন কোক স্টুডিওর ইউটিউব চ্যানেল  এ

আশা করি এইরকম মিউজিক্যাল প্রোগাম আমাদের দেশেও হবে ।

ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ১]

বান্দরবন ঘুরে এসে বান্দরবন নিয়ে বিস্তারিত একটা পোস্ট দিয়েছিলাম পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিকান
আজকেও বান্দরবন নিয়ে পোস্ট তবে এখানে বর্ণণা থাকবেনা থাকবে শুধু ক্লিক ক্লিক মানে ছবি ভ্রমন
৩টি পার্টে বান্দরবনের ছবিগুলো প্রকাশ করবো আজকে প্রথম পার্ট দেখি আমরা কতদুর যেতে পারি 

bandarban
কুমিল্লা থেকে যাত্তা শুরু
bandarban
অনেক কষ্টের পরে বান্দরবনের দেখা পেলাম
 
bandarban
চান্দের গাড়ী ভাড়া করার সাথে সাথে সব গাড়ীর ছাদে (ভীতুরা নিচে)

bandarban
নীলাচল যাবার পথে সৌন্দের্য্য সামনে কি অপেক্ষা করছে তা টের পেলাম

bandarban
ওরে বাপস এত সুন্দর, এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জনৈক সন্ঝিতা দাস এখান থেকে আত্নহত্যার চিন্তা করেছিলেন পরে আমাদের কারণে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছিলেন

bandarban
নিলাচলে গ্রুপ পিকচার কিন্তু লেখক অনুপস্হিত (হালকা কষ্টের ইমো হবে)

নিলাচল এর সৌর্ন্দয্য

bandarban
নিলাচল পার্ট শেষ করে আমরা আসলাম স্বর্নমন্দির ,মন্দিরে প্রবেশ করলে থাইল্যান্ডে আসছেন এই রকম ভাব আসতে পারে

bandarban
স্বর্নমন্দির এর রুপ

bandarban
বড় একটা ঘন্টা দেখতে পাবেন মন্দিরে (বাধ্য হয়ে লেখককে সামনে আসতেই হলো )

স্বর্নমন্দির

bandarban
স্বর্নমন্দির শেষ করে আসলাম মেঘলা নামক পার্কের মতো একটা জায়গায় এখানে আসলে সত্যিকরের ঝুলন্ত দুইটা সেতু দেখতে পাবেন

পানি দেখে আর থাকতে পারলাম না যার যা ছিলো তা নিয়েই ঝুলন্ত সেতু থেকে সরাসরি লাফ মারলাম পানিতে



অতি কমন একটা ১৮+ জোকস (বাচ্চারা দুরে খেলতে যাও)

কোন এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সুন্দরী শিক্ষিকা চাকুরিতে যোগ দিলেন। ম্যাডাম পড়াতে গিয়েই টের পেলেন,যুগের ছেলেরা পাল্টেছে, অতি স্মার্ট ডিজুস পোলাপান নিয়ে ম্যাডামের বেকায়দা অবস্থা।

প্রথম গ্রেডে সদ্য ভর্তি হওয়া রাজু তো বলেই বসলো, ম্যাডাম,আমি কোনো অবস্থাতেই প্রথম গ্রেডে পড়বোনা। কারণ,প্রথম গ্রেডের সব পড়ালেখা আমি অনেক আগেই শেষ করে ফেলেছি। এমনকি আমার বড় বোন যে ৩য় গ্রেডে পড়ে ,আমি ওর চেয়ে ও স্মার্ট।কাজেই মিনিমাম ,আপনি আমাকে ৩য় গ্রেডে পড়ার সুযোগ করে দিন।


ম্যাডাম,রাজুকে নিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে গেলেন।সব খুলে বললেন।
প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, ঠিক আছে আমি তোমাকে দুয়েক টা প্রশ্ন করবো, যদি তুমি ঠিকমত  উত্তর দিতে পারো তবে তোমাকে উপরের ক্লাশে প্রমোশন দেয়া হবে।
প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, আচ্ছা বলতো রাজু, ৩ গুন ৩ = কত?
রাজুর জটপট জবাব, নয়, স্যার

আচ্ছা বলতো ৮ গুন ৮ সমান কত?
এবারও রাজুর জবাব স্যার ৬৪।
প্রিন্সিপাল স্যার ম্যাডামকে বললেন, রাজুকে উপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া যায়।

রুপবতি ম্যাডাম এবার প্রিন্সিপাল স্যার কে বললেন, স্যার আমারও কিছু প্রশ্ন ছিলো, যদি আপনি অনুমতি দেন,আমিও একটু ওর মেধা যাচাই করি।
প্রিন্সিপাল স্যার এবার মাথা নেড়ে সায় দিলেন।

ম্যাডাম রাজুকে প্রথম প্রশ্ন করলেন,আচ্ছা রাজু বলতো গাভীর চারটা আছে,কিন্ত আমার আছে দুটো। সে টা কি?
রাজু চুপচাপ চিন্তা করছে,আর মিটিমিটি হাসছে।
ম্যাডাম বললেন,লজ্জা পাবার দরকার নেই রাজু। তুমি সঠিক জবাব দিও।
রাজু বললো,এটা হলো-আপনার দুই পা।

ম্যাডাম এবার ২য় প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা এবার বলতো, তোমার প্যান্টের ও জায়গায় আছে,আর আমার তা নেই সেটা কি?
রাজু লাজে হাসে।
ম্যাডাম বলেন,লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই রাজু।
রাজু বলেন,ম্যাডাম এটা হলো আমার প্যান্টের পকেট।

ম্যাডামের পরের প্রশ্নঃ আচ্ছা, বলতো,এমন একটি শব্দ যা ইংরেজে লেটার
C দিয়ে শুর আর T দিয়ে শেষ। জিনিসটা গোলাকার,ডিলিশাস,ভেতরে ভেজা ভেজা, আর নরম,যা পেলে সবাই তৃপ্ত হয়।
প্রশ্ন শুনে প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। কি বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না।চেহারা পুরো লাল হয়ে গেছে।
রাজ বললো, ম্যাডাম এটা হলো COCONUT .
প্রিন্সিপাল সাহেব হাফ ছেড়ে বাচলেন ;)

ম্যাডের পরের প্রশ্নঃ আচ্ছা এবার বলোতো, যা খুব শক্ত হয়ে কারো ভিতরে ঢুকে,আর নরম,ভেজা,আঠালো হয়ে বের হয়ে আসে?
রাজুর জবাব, ম্যাডাম এটা হলো বাবল গাম।

ম্যাডামঃ  আচ্ছা এবার বলোতো, কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যে শব্দ শুনলেই শরীরে যথেষ্ট উত্তাপ আর উত্তেজনা শুরু হয়-
এ প্রশ্ন শুনে প্রিন্সপাল স্যারের আবারো, লজ্জাকর অবস্থা ।
কিন্ত রাজুর উত্তর ,ম্যাডাম এটা হলো Fire Truck.

ম্যাডামঃ বলোতো কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যা মানুষ না পেলে হাত ব্যবহার করে।
রাজুর জবাব-ম্যাডাম এটা হলো-Fork.

ম্যাডামঃ রাজু বলতো সোনা,এ জিনিসটা কারো লম্বা, আবার কারো ছোট, একেক জনের একেক সাইজের হয়।বিয়ে করার পর জামাই আদর করে বউকে দিয়ে থাকে।
রাজুর জবাব--ম্যাডাম এটা হলো ডাকনাম।

ম্যাডামঃ রাজু বলতো এটা পুরুষের শরীরে কোন অংশ যেখানে কোনো হাড় নেই,তবে অনেক শিরা আছে,এক রকমের মাংসপিন্ডের সমষ্টি,উত্তেজনাকর অবস্থায় বেশী অনুভূত হয়।বিশেষ করে যা দিয়ে ভালোবাসা বাসি বুঝা যায়।

রাজুর জবাব, ম্যাডাম এটা হলো হার্ট বা হৃদয়।

শুনার পর প্রিন্সিপাল স্যার যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ম্যাডাম কে বললেন ওকে ৮ গ্রেডেই প্রমোশন দেয়া হোক। কারণ শেষের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব আমি নিজেই ভুল করেছি।


[এটা আমার ব্লগের প্রথম ১৮+ জোকস হঠাৎ ইচ্ছা হলো তাই শেয়ার করলাম আশা করি সবাই পজিটিভভাবে গ্রহণ করবেন]

আমাকে আমার মতো থাকতে দাও ...................

ভারতীয় বাংলা সিনেমা "অটোগ্রাফ" মুভির অসম্ভব জনপ্রিয় একটা গান আমাকে আমার মতো থাকতে দাও .........


গানের কথা এবং গায়ক : অনুপম রায়


আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি
যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়াই থাক
সব পেলে নষ্ট জীবন


তোমার এই দুনিয়ার ঝাপসা আলোয়
কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হওয়া কাঁচের মতো
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও
দূরবীনে চোখ রাখবোনা
না না না না ...

এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার
আমি রাখতে চাই না আর তার
কোনো রাত দুপুরের আবদার
তাই চেষ্টা করছি বারবার
সাঁতরে পার খোঁজার


কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে
যদি নেমে আসে ভালবাসা খুব ভোরে
চোখ ভাঙ্গা ঘুমে তুমি খুঁজোনা আমায়
আশে পাশে আমি আর নেই

আমার জন্য আলো জ্বেলোনা কেউ
আমি মানুষের সমুদ্রে গুনেছি ঢেউ
এই স্টেশনের চত্বরে হারিয়ে গেছি
শেষ ট্রেনে ঘরে ফিরবো না না
না না ...........


তোমার রক্তে আছে স্বপ্ন যত
তারা ছুটছে রাত্রি দিন নিজের মতো
কখনো সময় পেলে একটু ভেবো
আঙ্গুলের ফাঁকে আমি কই ?

হিসেবের ভিড়ে আমি চাইনা ছুঁতে
যত শুকনো পেয়াজ-কলি ফ্রীজের শীতে
আমি ওবেলার ডালভাত ফুরিয়ে গেছি
গেলাসের জলে ভাসবো না না
না না না .....



এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার
আমি রাখতে চাই না আর তার
কোনো রাত দুপুরের আবদার
তাই চেষ্টা করছি বারবার
সাঁতরে পাড় খোঁজার...... 

লেখাটি শেয়ার করুন