গুগল ক্রোম অথবা মজিলা দিয়ে ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করুন খুব সহজে জনপ্রিয় সব ফরম্যাটে [টিউটোরিয়াল ]

জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউব এ প্রতিদিন হাজার হাজার নানা ধরনের ভিডিও শেয়ারিং হচ্ছে যেগুলো দেখার সাথে সাথে আবার ডাউনলোড এর খায়েশ যে কারোরই হতে পারে কিন্তু বেরসিক ইউটিউব কতৃর্পক্ষ সরাসরি ডাউনলোড করার কোন সুযোগ রাখেনি তাই আপনাকে অন্য কোন উপায় ডাউনলোড করতে হবে ।

যারা আইডিএম ব্যবহার করেন তারা জানেন যখন আপনি ইউটিউবে কোন ভিডিও প্লে করা হয় তখন সাথে সাথে আইডিএমে ভিডিওটা ডাউনলোড করার অপশন চলে আসে ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যায় কিন্তু এটা শুধুমাত্ত FLV ফরম্যাটে ডাউনলোড হয় আবার যাদের আইডিএম বা সমমনা ডাউনলোড ম্যানাজার নেই তারা ডাউনলোড করার সময় এই সাইট সেই সাইট নানা ধরনের ঝামেলায় পড়েন ।

কিন্তু আপনি যদি মজিলা অথবা ক্রোমের Easy YouTube Video Downloader নামের এ্যাড অনটি আপনার ব্রাউজারে যুক্ত করে নেন তাহলে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই জনপ্রিয় সব ফরম্যাট যেমন FLV, 3GP, MP3, MP4, 720p HD and 1080p Full-HD ইউটিউবের যেকোন ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন

মাগো আমি যুদ্ধে আছি একুশ শতকের যুদ্ধা আমি দেশকে জিতাইয়া তবেই ঘরে ফিরবো তুমি দোয়া করো মা মাগো

বাংলাদেশ আর আয়ারল্যান্ডের বিশ্বকাপ খেলা,  বড় পর্দায় খেলা দেখতেছি বিশাল  উত্তেজনা সেই প্রথম ওভার থেকে শুধু গলাবাজির উপরে আছি ,গলার জোরে আজকে বাংলাদেশকে জিতাইয়া আনমু  ।বাংলাদেশের অবস্হা তখন টাইট আম্মা দিলো কল

আম্মা: কিরে কই তুই?
আমি : কেন ?
আম্মা :বাসায় আসবিনা ??
আমি :মাগো আমি যুদ্ধে আছি একুশ শতকের যুদ্ধা আমি,  দেশকে জিতাইয়া তবেই ঘরে ফিরবো তুমি দোয়া করো মা মাগো
আম্মা: ডায়লগ ভালাই শিখছস যুদ্ধ করা লাগবোনা  তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আইস

আমি বাসায় আসার পর

আমি :মাগো মা, তোমার ছেলে পারছে তুমার দেশরে আমি জিতাইয়া আনছি
আম্মা: তুর ফাজলামো গুলা আর গেলো না আয় বাবা বুকে আয়

ভুমিকম্পের সময় আমাদের করণীয় [বাঁচতে হলে জানতে হবে]

প্রাকৃতিক ভাবে বাংলাদেশ ভুমিকম্পপ্রবণ এলাকাতে অবস্হিত আর ইদানিং দেখা যাচ্ছে খুব ঘণ ঘণ ভুমিকম্প হচ্ছে ,যদিও এখন পযর্ন্ত কোন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হয়নি তবুও বিশেষজ্ঞদের আশংকা যেকোন সময় বড় ধরনের ভুমিকম্প হতে পারে আর এতে লাখো লাখো মানুষ মারা যেতে পারে । 

সরকারী পর্যায় থেকে উদ্যেগ গ্রহণ করে রাখা জরুরী যদিও আমাদের দেশের যে প্রেক্ষাপট সরকারী উদ্যোগের আশা করে থাকাটা পুরোই বোকামি ।।

আসুন জানি ভুমিকম্পের সময় আমাদের করণীয় কি কি 

২৫ শে ফেব্রুয়ারী : কলংকময় যে দিনটি হয়তো আমরা ভুলে যাবো

জাতি হিসেবে আমরা অনেক অদ্ভুত আমরা দ্রুত সবকিছু ভুলে যেতে পারি,সেই স্বভাবের কারণেই হোক অথবা অন্য কারণেই হোক ২৫ শে ফেব্রুয়ারি তারিখটা মনে হয় অনেকেই ভূলে গেছে ।

 আজ ২৪ ই ফেব্রুয়ারি একদিন পরেই ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ সালের পর বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে কলংকময় অধ্যায় ।এই দিনে বিডিআরের কিছু সদস্যের বিদ্রোহ এবং তাতে সরকার ও বিরোধীদল সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদদের ষড়যন্ত্রের বলি হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহসী দেশপ্রেমিক ৫৭ জন অফিসার সহ মোট ৭৩ জন শহীদ হয় ।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি,২৫ শে ফেব্রুয়ারী সকালে যখন আমি টিভি অন করি তখন সকল চ্যানেলেই দেখি বিদ্রোহ নিয়ে ব্রেকিং নিউজ দেখাচ্ছে তবে আমার মনে পড়ছে আমি প্রথম যে নিউজটি দেখেছিলাম তা হলো "রাইফেলস মার্কেটের ভিতরে বিডিআর অবস্হায় নিয়েছে"
তার কিছুক্ষণ পরেই বিডিয়ারের কিছু জওয়ান টিভি মিডিয়াকে জানালো তারা বিদ্রোহ করেছে এবং বিদ্রোহী জওয়ানরা তাদের  বিদ্রোহের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সেনাবাহিণীর  অফিসারদের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ জানাচ্ছে কিন্তু ভেতরে যে তারা কত বড় গণহত্যা চালিয়েছে তা তারা বেমালুম চেপে গেলো ।

হায় হায় মাশরাফি নাকি এ্যাডাম টিজিং এর শিকার হইছে ,দেশে কলিকাল জোরেশোরে চলতেছে মনে হয় :(

হায় হায় একি খবর শুনলাম আমাগো দেশের প্রাণ দেশের মান নড়াইল এক্সপ্রেস  মাশরাফিরে নাকি দুই মাইয়া এ্যাডাম টিজিং করছে ।

খবরটা এইরকম যে মাশরাফি ভাই হাওয়া মে উড়তা যায়ে মেরে লাল দু পাট্রা..........গান গাইতে গাইতে বাসা থেকে যেই মাত্ত দুই কদম ফেলছে রাস্তার পাশে খাড়াইয়া থাকা দুই বখাটে মেয়ে উনার উদ্দেশ্যে অশালিন মন্তব্য ছুইড়া দিছে আর এতে মাশরাফি ভাইয়ের মনে কষ্ট লাগছে এবং উনার মনে একটাই প্রশ্ন জাগছে আমার যদি এই অবস্হা হয় দেশের আপামর জনসাধারণের কি অবস্হা হবে :(

দেশে কলিকাল চলতেছে জানি কিন্তু এই কলিকালের ব্যাপ্তি যে এত দুর গড়াইছে তা জানতাম না

মাশরাফির যদি এই অবস্হা হয় তাইলে আমাগোর মতো আমজনতার কি হবে ??

মুল খবরটা প্রথম আলোর 

আমাকে যেতে দাও আমি চলে যাবো

আমাকে যেতে দাও,আমি চলে যাবো
আমাকে থামাও ,আমি থেমে যাবো

চলে যাচ্ছি আমি ,ফিরে আসছিনা
থেমে যাবো আমি ,আর কখনো চলবোনা 

আমি কি করবো সেখানে
যেখানে তুমি নাই , তুমরাও নাই
নি:সঙ্গো আমি নি:স্ব হতে চাইনা আবার

আমাকে যেতে দাও,আমি চলে যাবো
আমাকে থামাও ,আমি থেমে যাবো


  পৃথিবীটা আমার অন্যরকম 
      আমি নিজেই এলোমেলো ,ভীষন অগোছালো
হাতটুকু আকড়ে ধরতে চাই তোমার 
দাড়াতে চাই নিজের মতো আবার

আমাকে যেতে দাও,আমি চলে যাবো
আমাকে থামাও ,আমি থেমে যাবো

তোমাদের স্বার্থপর নগরিতে আমি বড় বেমানান
নিজেকে বড় জন্জাল মনে হয়
আমি হতে চাইনা তোমাদের মতো 
হতে চাই আলোকের মতো আলোকিত 

আমাকে যেতে দাও,আমি চলে যাবো
আমাকে থামাও ,আমি থেমে যাবো


Beautiful Bangladesh : The School Of Life

The School of Spirit,
The School of Bravery
The School of Talent
The School of Playfulness
The School of Celebration
The School of Happiness
The School of Hope
The School of Mysticise
The School of Freedom
The School of Adventure
The School of Togetherness
The School of Art
The School of Love

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে.. [উৎসর্গ : বাংলাদেশ ক্রিকেট দল]

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।
আমরা ক'জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি
শক্ত করে রে.............এ.......

জীবন কাটে যুদ্ধ করে 
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই
ও ..............ও ....................ও ...............ও........................

ঘরবাড়ির ঠিকানা নাই
দিনরাত্রি জানা নাই
চলার সীমানা সঠিক নাই

জানি শুধু চলতে হবে
এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর মাঝি রে..........

জীবনের রঙে মনকে টানে না
ফুলের ওই গন্ধ কেমন জানিনা ....জানিনা
জোছনার দৃশ্য চোখে পড়ে না.......পড়েনা
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না

বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙ্গে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরো ছিঁড়ে যায়
ও..............ও....................ও...........ও

হাতছানি দেয় বিদ্যুৎ আমায়
হঠাত কে যে শঙ্খ শোনায়
দেখি ওই ভোরের পাখি গায়

তবু তরী বাইতে হবে 
খেয়া পাড়ি দিতেই হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে

তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
                              পাড়ি দেবো রে...............................

অদৃশ্য রবি

যখনই তৃপ্ত মৃত্তিকায় সুর ঝরে ,একাকি
প্রথম প্রহরে মেঘে ঢাকা আকাশ কেন শুন্যতায়

যখন চাদর জড়ানো ঘুম চোখে
ঝাপসা আলো পর্দার ফাকে
কেন স্বপ্ন খুজি অবচেতন চেতনায়
কেউ এসে বলে দাও

আজও খুজে যাই নোনা জল কোমল অধরে
বিষুবরেখার দুপাশে স্বপ্নের পরিধিতে
সূর্যটাকে সাক্ষী রেখে প্রতিজ্ঞা আজ আমার
নি:সংঙ্গতাকে বাজি রেখে আজও আমি আমার

যখনই দৃষ্টি পড়ে বন্ধুযুগল  প্রেমাসনে
মনের খোড়াক হয়ে আপন কাছে প্রশ্ন জাগে
যখন সুখের পাজড়ে বাধ ভাঙ্গে
নিষ্টুর পরিহাস কেদে ফেলে
কেন হারিয়ে যায় পরিচিত পরিণতী
কেন? এসে বলে দাও


যেওনা দক্ষিণ দ্বারে , বাতাস তোমায় উড়িয়ে নেবে

যেওনা দক্ষিণ দ্বারে , বাতাস তোমায় উড়িয়ে নেবে

যেওনা আকাশ পানে ,যেওনা আকাশ পানে
সূর্য তোমায় পুড়িয়ে দিবে 
দেখোনা আজ চাদের মুখ 
কলংক যে পিছু নেবে

রেখোনা হাত ঘুমের ঘোরে 
স্বপ্ন কখন উদাস হবে 

ভিজোনা আজ শ্রাবণ ধারায় 
বৃষ্টি তোমার চোখ ভেজাবে

ডেকোনা আজ এমন করে 
এ চোখ আবার  পথ হারাবে 

যেওনা দক্ষিণ দ্বারে , বাতাস তোমায় উড়িয়ে নেবে
যেওনা দক্ষিণ দ্বারে , বাতাস তোমায় উড়িয়ে নেবে



ঘুরে আসুন কক্সবাজার সেন্টমার্টিন আর ছেড়াদ্বীপ [ ভ্রমন ব্লগ পার্ট ২]

ঘুরে আসুন কক্সবাজার সেন্টমার্টিন আর ছেড়াদ্বীপ [ভ্রমণ ব্লগ পার্ট ১]

প্রথম পর্বের পর...........

যাই হোক সকাল বেলা সবাই ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে কাপড় চোপড় পড়ে হালকা নাস্তা খেয়ে  কেয়ারী সিন্দাবাদ বাস সার্ভিস এর কথামতো সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে হোটেলের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে রইলাম, হায়রে !!!!বেরসিক বাস আসলো আধাঘন্টা পর মানে সাতটার দিকে ।

টেকনাফের রাস্তা খুব একটা সুবিধার না তার উপরে আমরা সিট পেলাম বাসের একদম শেষের দিকে দুই ঘন্টা   ঝুাকুনি খেতে খেতে অবশেষে জাহাজ ঘাটে গিয়ে পৌছলাম ।

**জাহাজ ঘাটে পৌছানোর পর আপনাকে জাহাজ সার্ভিসের মুল অফিস থেকে যে টিকেটগুলো দিয়েছে সেই টিকেটগুলো দেখিয়ে টোকেন নিতে হবে, না হলে জাহাজে উঠতে দিবে না তাই বাস থেকে নামার সাথে সাথে টোকেন জোগাড় করে নিন ।
কেয়ারি সিন্দবাদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে

যাই হোক অবশেষে জাহাজে গিয়ে বসলাম তারপর সবগুলো ব্যাগ একসাথে রেখে সব জাহাজের ডেকে চলে আসলাম একটু পরেই জাহাজ চলা শুরু করলো ,বিশাল সমুদ্রের মাঝে আমাদের জাহাজ চলছে আমরা সবাই গলা ছেড়ে গান টান দিলাম "তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবোরে ,আমরা কজন নবীন মাঝি হাল ধরেছি শক্ত হাতে............" না লাইফ আসলে খারাপ না কি বলেন !!

যাবার সময় একটা বিরল দৃশ্য দেখলাম ডলপিনের ৮/১০ টা বাচ্চা একটু পর পর আমাদের জাহাজের কাছে এসে লাফ দিচ্ছে সত্যি অসাধারণ !!!!!

**টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার মত সময় লাগে 

অবশেষে দেখা গেলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ ............
ওইযে সেন্টমার্টিন দ্বীপ

সেন্টমার্টিন দ্বীপে নামার সাথে সাথে ভাই হোটেল লাগবে হোটেল লাগব বলে চিল্লাচিল্লি ,আমাদের একই উত্তর হোটেল বুক করা আছে যদিও হোটেল বুক করা নেই ।

প্রথমে গেলাম ব্লু মেরিনে বললো সিট খালি নাই কিন্তু তাবু আছে আমরা বললাম ঠিক আছে তাবুতে থাকবো   দাম জিজ্ঞাস করলাম ম্যানাজার বললো ৩০০০ টাকা মনে মনে বললাম তোর তাবুতে তুই থাক আমরা থাকুম না ৩০০০ টাকা দিয়ে তাবুতে থাকার  দরকার নাই  !!!!!!!!!!!!!এবার গেলাম ব্লূ মেরিনের পাশেই প্রাসাদ প্যারাডাইসে একই উত্তর ব্রাদার রুমতো খালি নাই আমি বললাম তাবু থাকলে ব্যবস্হা করে দেন সারাজীবনতো রুমেই থাকলাম এবার তাবুতে থাকবো নতুন একটা অভিজ্ঞতাও হবে ।

ম্যানাজার বললো ছাদে তাবু আছে দেখে আসেন তারপর কথা বলবো ।
আমরা ছাদে গেলাম তাবু দেখতে ,গিয়ে দেখি প্রচন্ড গরম থাকা যাবেনা কোনভাবেই ,পরে যখন ম্যানাজারকে বললাম গরমের কথা ম্যানাজার বললো তাবুর সব দিকতো বন্ধ তাই এত গরম আপনারা আমাকে ১০ মিনিট সময় দেন সব ঠিক করে দিচ্ছি । হোটেলের ডেস্কে বসে বললাম ঠিক আছে দিলাম ১০ মিনিট সময় । পরে দেখলাম হোটেলের ম্যানাজারের কথাই ঠিক তাবু ঠিক ঠাক করা হয়েছে ,তাবু ভাড়া দিতে হলো ১০০০ টাকা ।
আমাদের তাবু

**প্রাসাদ প্যারাডাইস হোটেলে থাকার আরও একটা কারণ হলো এর ছাদ থেকে আরাম করে সমুদ্র দেখা যায় আর এর দুই প্রবেশ পথের দুই দিকেই সমুদ্র দেখা যায় মানে হোটেল থেকে পা বাইরে ফেললেই সমুদ্র । আপনারা ভালো করে দেখে শুনে তারপর হোটেল ঠিক করবেন কোন তাড়াহুড়া করার দরকার নাই তবে আমার ব্যাক্তিগত ভাবে দ্বীপের পশ্চিম দিকের চেয়ে উত্তর দিকের হোটেলগুলো মানে ব্লুমেরিন প্রাসাদ প্যারাডাইস হোটেলগুলো যেদিকে সেদিকের হোটেলগুলোর লোকেশন ভালো লেগেছে 


সবাই তাবুতে কাপড় চোপড় রেখে আর মোবাইল গুলো ম্যানাজারের জিম্মায় রেখে দিলাম দৌড় সমুদ্রে ,সেন্টমার্টিন দ্বীপের সবচেয়ে বড় বিশেষত্বই হলো এর পানি নীল আর একদমই স্বচ্ছ । অণেকক্ষণ পানিতে থাকার পর কিছুটা শীতে কাপতে কাপতে হোটেলে ফিরে আসলাম এসেই দ্রুত ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার শেষ করলাম ।


** কক্সবাজারে তুলনায় সেন্টমার্টিনে খাবারের দাম কমই মনে হলো ।

যেহেতু হাতে সময় কম তাই দুপুরের খাবারে পর বিশ্রাম না করেই আবার বিচে চলে আসলাম হাতের ক্যামেরাটা দিয়ে কিছু ছবি তুলতে হবে মাথায় এ ধরনের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে । আমি বিচে অন্যদের চেয়ে আগেই এসে ক্লিক ক্লিক করতেছিলাম একে একে সবাই বিচে চলে আসলো তারপর সবাই মিলে ঠিক করলাম পুরো দ্বীপটা একটা রাউন্ড দিতে হবে ,যেই ভাবা সেই কাজ শুরু করলাম হাটা...........
সূর্যের আলোয় কয়েকজন যুবক

সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রবাল গুলোর উপরে যখন দাড়িয়ে থাকবেন আর ঢেউগুলো এসে প্রবালের উপরে আছড়ে পড়বে তখন যে কি  রকম অনুভুতি হয় তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা ।

অনেকেই দেখি দ্বীপের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার আগেই বার বার পানিতে নেমে একাকার হয়ে যায় আমার পরার্মশ থাকবে আগে ঠিকভাবে সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন তারপর পানিতে নদীতে প্রবালে উপর শুয়ে বসে চিৎ হয়ে সব জায়গায় ছবি উঠান কোন সমস্যা নাই

যাইহোক আমরা হাটা শুরু করলাম পুরো দ্বীপ রাউন্ড দেবার উদ্দেশ্যে রাস্তায় দেখলাম দোকান, যেহেতু বিকেল হয়ে আসছে তাই কিছু পেটে দেওয়ারও দরকার আছে যাই হোক রুচ চাদা মাছ সাথে কাকড়া আর ৫স্টার নামে এক ধরনের বিরল মাছে  ঘাপুস গুপুস পেটে চালান দিলাম
এইগুলোই হলো ৫স্টার এগুলোকে বলা হয় লবস্টারের বড় ভাই

**বারবি কিউ খেতে ভুলবেন না আর কাকড়াও খেতে পারেন খুব মজা তবে আপনার রুচির উপরে সব ছেড়ে দিলাম

হাটতে হাটতে প্রিয় লেখক হুমায়ন আহমেদের বাড়ির কাছে চলে আসলাম
হুমায়ন আহমেদের বাড়ী সমুদ্র বিলাম

যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই আমরাও হাটার গতি কিছুটা বাড়িয়ে দিলাম আমাদের মাথায় একটাই চিন্তা পুরো দ্বীপটা একবার চক্কর দিতেই হবে যাই হোক হাটছি তো হাটছিই কোন কুল কিনারা করতে পারছিনা কয়েকবার রাস্তাও হারিয়ে ফেললাম অবশেষে স্হানিয় দুই বাচ্চার সহায়তায় রাস্তা খুজে পেলাম

হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে আবার বিচে গেলাম ,রাতের সেন্টমার্টিন যেন অন্যরকম বিশাল সমুদ্রে চাদের আলো ,সাথে আছে সাদা ফরফরাসের খেলা এক কথায় আমার দেখা সেরা পূর্ণিমা রাত :)

সকালে উঠে নাস্তা সেরে ছেড়া দ্বীপ যাবার জন্য নৌকা ঘাটে গিয়ে টিকেট কেটে নৌকাতে উঠলাম


**প্রতিজন ১২০ টাকা করে নিবে যাওয়া এবং আসা ,আপনাকে ছেড়া দ্বীপ ১ ঘন্টা ঘুরার সময় দিবে তারপর আবার নিয়ে আসবে 
আমাদের নৌকা


ছেড়াদ্বীপ আসলেই অসাধারণ একটা জায়গা, কোন জনবসতি নেই দুই একটা অস্হায়ী দোকান আছে যেহেতু সময় একদম কম তাই পুরো দ্বীপটা একটা চক্কর মেরে দিলাম দ্রুত আর  সাথে ক্লিক ক্লিক :)
ছেড়াদ্বীপ

ছেড়া দ্বীপ থেকে আসতে আসতেই ১ টার মত বেজে গেলো আমাদের জাহাজের সময় ছিলো ৩ টায় তাই এসেই আস্তে আস্তে সবকিছু গুছিয়ে নিলাম তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে বের হয়ে গেলাম । হোটেল থেকে বের হয়েই কিছু শুকটি কিনলাম তারপর জাহাজে গিয়ে উঠে গেলাম

** কক্সবাজারের চেয়ে সেন্টমার্টিনে শুটকির দাম কম তাই শুটকি সেন্টমার্টিণ থেকে কিনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে 


দুইঘন্টা জাহাজ জার্নি করে তারপর বাসে করে কক্সবাজার ফিরে আসলাম । আমাদের বাসের সময় ছিলো সাড়ে দশটায় আমার আগেই কক্সবাজার ফিরে আসায় দেখি কিছু কেনাকাটা করতে পারি কিনা এই টাইপের চিন্তা ভাবনা থেকে মার্কেট থেকে কিছু কেনাকাটা করলাম

**আচার কিনার সময় অবশ্যই টেস্ট করে তারপর কিনবেন না হয় আমাদের মত ধরা খাবেন


তারপর আর কি এস আলমে করে কুমিল্লা চলে আসলাম ।

এইছিলো আমাদের জার্নির এ টু জেড কথোপকথন । সময় পেলে আবার যাবো তবে কক্সবাজার নয় যদি যাই সরাসরি সেন্টমার্টিন যাবো

**সেন্টমাটিন রাতে না থাকলে এর সৌন্দর্য একদমই বুঝতে পারবেন না কারণ জাহাজ আসা এবং যাওয়ার মাঝে আপনি সর্বোচ্চ ২/৩ ঘন্টা সময় পাবেন এই্ সময়ে আপনি দ্বীপের সৌন্দর্য কিছুই বুঝতে পারবেন আর ছেড়াদ্বীপ এর কথা নাইবা বললাম ।
**জনৈক জ্ঞানি ব্যক্তি বলেছেন  সেন্টমার্টিনে রাতে না থাকা আর  বোতলের পানিতে সমু্দ্র দেখা একই কথা  
আপনাদের কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে কোন সংকোচ ছাড়াই জিজ্ঞাস করতে পারেন । 

বিশ্বকাপের উন্মাদনায় আরও জোরে সব জায়গায় আওয়াজ তুলুন বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ !!

আর কিছুদিন পর বিশ্বকাপ আর এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশও হট ফেভারিট তাই সারাদেশের মানুষ আশায় বুক বেধেছে যে এবার কিছু একটা হবে ,বড় বড় দলগুলোও বাংলাদেশকে এবার হালকা ভাবে নিচ্ছেনা কারণ তারা জানে বাংলাওয়াশের কি জ্বালা :)

যাই হোক বিশ্বকাপের উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে এরই মাঝে এই উন্মাদনা চায়ের দোকান থেকে ইন্টারনেট পর্যন্ত ।

এই উন্মাদনাকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে সাকিব,তামিম আর মাশরাফির ওয়ালপেপার ডাউনলোড করে নিন আর আপনার ডেস্কটপ,প্রোফাইল পিকচার সব জায়গায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ আওয়াজ তুলুন
Bangladeshi
Shakib,tamim and Masrafi in Pepsi Commercial for World cup

Masrafi in pepsi

Shakib
Shakib al hasan in Pepsi Commercial

tamim in pepsi ad
Tamim Iqbal in Pepsi Commercial


প্রতিটি ওয়ালপেপারের উপরে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন অথবা এই লিংক হতে সবগুলো একসাথে ডাউনলোড করতে পারবেন

এখানে দেওয়া সবগুলো ওয়ালপেপারের সাইজ ১০২৪*৭৬৮ এর চেয়ে বড় সাইজের দরকার হলে এখানে ক্লিকান

লেখাটি শেয়ার করুন