গর্তে সবাই পরে,যারা গর্ত থেকে উঠে আসতে পারে তারাই আসল বীর

গর্তে সবাই পরে,যারা গর্ত থেকে উঠে আসতে পারে তারাই আসল বীর
এই কথাটা ঠিক কোথায় পড়েছি তা স্মরণ করতে পারছিনা তবে কালকে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের  সাথে বাংলাদেশ অনেক কষ্ট করে জিতলো তখন বাসায় ফেরার সময় এই কথাটা মনে পড়ছিলো বার বার ।

একটা কৌতুক বলি

রাস্তার ধারে বসে থাকা সিংহকে দেখে এক ইঁদুর জিজ্ঞেস করলো- ব্যাপারটা কি সিংহ মামা, রাস্তায় কেন? ব্যথায় নাক মুখ কুঁচকে সিংহ বলে যে তার পা ভেঙ্গে গেছে আপাতত নড়াচড়ার উপায় নাই। ইঁদুর শুনে এক চিৎকার
- হারামজাদা বসবি যদি রাস্তার মাঝে কেন, ধারে বসতে পারিস না?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ৫৮ রানে অলআউট হবার পর ঠিক এই কৌতুকের ইদুরের ভুমিকায় আমাদের মিডিয়া সাথে কিছু সাবেক প্লেয়ার আর  কিছু মুর্খ দর্শক অবতীর্ন হয়েছিলো ।

অনেকেই বলতে শুনিছি এই দল দিয়ে কিছুই হবেনা এদের খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত এই করা উচিত সেই করা উচিত আবার কিছু পাবলিক এক সরস বেশি এগিয়ে সাকিবের বাসায় হামলা করেছে পতাকা পুড়িয়েছে খেলোয়াড়দের গাড়িতে হামলা করেছে ।

 আর সাবেক কিছু প্লেয়ারের কথা কি বলবো এরা মনে হয় এই দিনটার জণ্য অপেক্ষা করছিলো বহুদিন । বিশেষ করে খালেদ মাহমুদ সুজন ,দুজর্য় আর রকিবুল ইসলামের কথা বলবো । নগ্ন সমালোচনা যাকে বলে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এরা এদের নিয়ে আর কোন কথা বলতে চাইনা শুধু অনুরোধ করবো আপনারা সাবেক সমালোচনা করবেন স্বাভাবিক তবে তারও একটা মাত্তা আছে সেটা বুঝার চেষ্টা করুন । ২৩ বছরের একটা যুবকের পিছনে এভাবে না লাগলেও পারতেন । সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতে হয় ।

আর কিছু অতিউৎসাহী মিডিয়া সাকিবের নামে কয়েকটা মিথ্যা রিপোর্ট করলো আবার বেনামে কোন এক সাবেকের চিঠিও প্রকাশ করলো আবার কেউ একজন সাকিবের আংগুল প্রর্দশের কোথাকার কোন ছবি প্রকাশ করলো যার কোন ভিত্তি নাই ।

ক্রিকেটে বহু খারাপ দিন আসে সবগুলোর ব্যাখ্যা দাড় করানো সম্ভব না ৫৮ রানে অলআউট হওয়াটাও সেই রকম একটা ব্যাপার যার ব্যাখ্যা নাই সেদিনটা আসলেই একটা বাজে দিন ছিলো । আর শুধু আমরাই যে ৫৮ রানে অলআউট হয়েছি এমন না পাকিস্তান ৪৩ রানে,ভারত ৫৪ রানে শ্রীলংকা ৫৫ রানে অলআউট হয়েছে এর আগে ।

৫৮ রানে অলআউট হওয়া মানেই এই নয় আমরা কিছু পারিনা এমননা আমাদের সামর্থ্য আছে কিন্তু সেদিন হয়তো সামর্থ্যটা আমরা দেখাতে পারিনি আমরা চরমভাবে ব্যর্থ কিন্তু ইংল্যান্ড এর সাথে আমার সেটা করে দেখিয়েছি ,আমরা দেখিয়েছি আমরা আছি আমরা পারি আমরা যে কাউকে হারাতে পারি ।

আমাদের দলের অধিকাংশ ছেলেদের বয়স ২৩-২৫ এর ঘরে এই বয়সে মানুষ আবেগ প্রবণ বেশি হয় সহজেই ভেংগে পড়ে এইসব ছেলেদের পাশে আমাদের দাড়াতে হবে এই সব ছেলেদের সাহস দিতে হবে অযথা চাপ দিলে সেই চাপটা এরা নিতে পারবেনা । যখন এই ছেলেরা ম্যাচিউরড হয়ে যাবে তখন দেখা যাবে এরা যেকোন চাপ সহ্য করতে পারবে মিডিয়ার চাপ সাবেকদের চাপ দর্শকদের চাপ এরা সহজেই সামলে উঠবে ।

সাকিব আমাদের গর্ব এবং নি:সন্দেহে দেশের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় ,ছেলেটা একসাথে বোলিং করে ব্যাটিং করে অধিনায়কের মতো কঠিন দায়িত্ব পালন করে । সে আমাদের অনেকবার আনন্দে ভাসিয়েছে ,এই ছেলেটাকে নিয়ে দয়া করে টানা হেচড়া করবে না ,এই্ ছেলেটার গ্রেট প্লেয়ার হবার সব গুণ তার ভিতরে আছে এবং আশা করি সে করে দেখাবে ।
ইংল্যান্ডের সাথে জয়ের পর খুশিতে কাদলেন সাকিব আল হাসান 
প্রথমে বসেছিলাম কড়া সমালোচনা করার জন্য পরে ভাবলাম কি দরকার সাকিব বাহিনী যে জবাব দিয়েছে তার পরে আর কিছু বলার খুব একটা দরকার নাই ।

শুধু একটাই অনুরোধ করি দলটাকে সাপোর্ট করে যান কয়েকবছর আগেও আমার সম্মানজনক হার বা ফাইট করার জন্য খেলতাম আর আজকে সাকিব তামিমদের বদৌলতে আমার প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য খেলতে নামি । তাই আস্হা রাখুন অযথা বির্তক করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন ।

সবাই ভালো থাকুন মন খুলে দলের সমালোচনা করুন কিন্তু সেটা অবশ্যই গঠনমুলকভাবে করুন ।


হারুক জিতুক দলের পাশে থাকুন গর্তে সবাই পরে ,টাইগাররা জানে কিভাবে গর্ত থেকে উঠতে হয়  এবং তারা তা করে দেখিয়েছে ।

0 comments:

Post a Comment

লেখাটি শেয়ার করুন