স্বপ্নছড়া খৈইয়াছড়াতে তাবু ফেলার গল্প (ভ্রমণ গল্প)

ঝরনা দেখে গোসল করে চলে আসবো ? উহু কেন যেন মন ভরেনা কোথায় যেন অতৃপ্তি থেকে যায় আর তাই এবার ঠিক করলাম স্বপ্নছড়া খৈইয়াছড়া শুধু দেখবোই না সাথে সাথে ভরা পূর্ণিমাতে তাবু ফেলে রাতও কাটাবো :)

গল্পটা তখনকার যখন খৈইয়াছড়া ঝরনা এখনকার মতো এত বেশি পরিচিত ছিলোনা আর উঠার রাস্তাগুলোও যথেষ্ট খাড়া আর ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো :) যাই হোক অবশেষে কোন এক ভরা পূর্ণিমানে দলবল নিয়ে তাই রওয়ানা হলাম সাথে ছিলো তাবু ,বাজার সদাই আর অসাধারণ এক রাত কাটানোর স্বপ্ন :)  সেই স্বপ্ন জুড়ে ছিলো চাঁদনি পসর রাত ,ক্যাম্প ফায়ার ,ঝরনার শব্দে ঘুমাতে যাওয়া আরও হাজারটা মনে রাখার মতো স্মৃতি :) 


তাবু,ডেক ডেকচি আর বাজার সদাই নিয়ে্ আমাদের রওয়ানা 

নির্ধারিত দিনে আমাদের তাবু রান্নার হাড়ি পাতিল আর বাজার সদাই  সব নিয়ে রওয়ানা হলাম এক্ষেত্রে আমরা আবার একটু ব্যতিক্রম যারা ক্যাম্পিং করে তারা অধিকাংশরাই ক্যাম্পিং এ হালকা নুডলস বা বিস্কিট খেয়ে রাত পার করে আমরা আবার হাস মুরগী গরুর মাংশ এসব নিয়ে যাই সবাই মিলে রান্না করি খাই দাই ..যাই হোক  হাসি দুষ্টামি করতে করতে কখন ঝিরি পথ ধরে হাটতে হাটতে ঝরনার সামনে চলে এসেছে খেয়ালই নেই ।।
সর্বপ্রথম পাবেন খৈইয়াছড়ার এ ধাপটিই :) 

খেইয়াছড়ার এ ধাপে কিছু ছবি তুলে আর নীজেকে ঝরনার পানিতে শীতল করে দ্রুত পা চালিয়ে উপরের দিকে উঠা শুরু করলাম কারণ ক্যাম্পের জায়গায় গিয়ে দ্রুত জ্বালানি লাকড়ি আর রান্না বান্নার ব্যবস্হা করতে হবে ,রাস্তাটা যথেষ্ট খাড়া আর বৃষ্টি হওয়ার কারণে বেশ বেগ পেতে হলো উঠতে ..আমাদের সাথে বেশ কয়েকজন ছিলো যাদের প্রথম ট্রেকিং এবং ক্যাম্পিং ছিলো তাদের অবস্হা দেখার মতো ছিলো একজনতো বলেই ফেললো কি পাপ ছিলো আমাদের  !!! 
উপরের দিকে উঠার পর এটা পাবেন :)

যাই হোক একে একে একদম উপরের ধাপ মানে প্রথম ধাপে পৌছাতে গেলাম ..ওইদিন বৃষ্টি ছিলো তাই রাস্তাগুলো খুব পিচ্ছিল ছিলো ভয় ছিলো কারো কোন দুর্ঘটনা না ঘটে যায় কারণ কোন কারণে পা পিছলে গেলে পাথরের উপরে গিয়ে পড়তে হবে ,সেক্ষেত্রে কত বড় বিপদ হবে তা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন,কিছু কিছু জায়গায় দড়ি ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়েছিলো  ।।
উপরে পৌছেই তাবু ফেলে দিলাম ঝরনার একেবারে সামনে 

উপরের ধাপে পৌছেই একেবারে ঝরনার সামনে সবাই তাবু ফেলে দিয়ে সব গুছিয়ে নিলাম :) আমাদের তাবু ফেলার জায়গাটা যথেষ্ট বিপদজনক ছিলো কারণ তখন রাতে বৃষ্টি হবার সম্ভবনা ছিলো যদি কোন কারণে বৃষ্টি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ফ্লাশ ফ্ল্যাড বা হরকা বানের সম্মুখিন হতে হতো সেক্ষেত্রে তাবু সহ আমাদেরকে নিয়ে নীচে ফেলতো আর নীচে নিয়ে ফেলা মানে নিশ্চিত মৃত্যু ।। অনেকটা ভয় আর আনন্দের সংমিশ্রণ বলা যায় ।।

যাই হোক তাবু ফেলেই দ্রুত লাকড়ি /জ্বালানি সংগ্রহে নেমে গেলাম কারণ বনে ক্যাম্পিং এ আপনাকে জ্বালানি সর্বোচ্চ সহায়তা করবে !!!!! কিন্তু একি জ্বালানি সংকট !! শুকনো লাকড়ি জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়লো কিন্তু লাকড়ি আমাদের লাগবেই এ ছাড়া না হবে রান্নাবান্না, না হবে রাতের ক্যাম্প ফায়ার ...দল দল ভাগ করে বের হয়ে গেলাম ….বড় লাকড়ির চিন্তা বাদ দিয়ে ছোট ছোট লাকড়ি সংগ্রহ করা শুরু করলাম এককথায় আমাদের মাথায় ছিলো লাকড়ির সর্বোচ্চ মজুদ ..ছোট ছোট আটি বেঁধে অনেক দুর থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে আনলাম দেখা গেলো না কষ্ট বৃথা যায়নি :) রান্না বান্না আর ক্যাম্প ফায়ারের জন্য যথেষ্ট জ্বালানি সংগ্রহ হয়েছে ।
রাতের রান্না বান্নার প্রস্তুতি 

লাকড়ি জোগাড় শেষ এবার সুযাস্তের আগে রান্নার সব আয়োজন শেষ করার তাগিদ কেউ কাটাকুটিতে গেলো কেউ চুলা তৈরি করাশুরু করলো …বিকালের আলোতে হাসি ঠাট্রা তামাশা সব মিলিয়ে আনন্দের মাঝেই আমাদের কাজ এগিয়ে গেলো আজ র রাতেন মেন্যু ছিলো দেশী মুরগী সাথে লাউ ,ভাত,ডাল আর সালাদ :)

বিকাল ঘড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো ...আমাদের কাজও মোটামুটি শেষ ..এবার শুরু রান্না ...কিন্তু কিন্তু !!! আগুন জ্বালানোটা কঠিন হয়ে গেলো কারণ চারদিক ভেজা এমনকি আমাদের লাকড়িগুলোও যথেষ্ট সাপোর্ট দিচ্ছিলোনা :(

বহু কাঠ খড় পুরিয়ে অবশেষে আগুন জ্বালাতে পারলাম ...এর মাঝে হঠাৎ আকাশের গজর্ন ..বুকে কাপন ধরে উঠলো কারণ বৃষ্টি আসলে আমাদের পক্ষে ওখানে টিকে থাকাটা অনেক কষ্টের হয়ে যাবে আর আমাদের তাবুগুলোও ওয়াটার প্রুফ নয় ।।


যাই হোক ভয়কে জয় করে আমাদের রান্না চলতে লাগলো সবার মাঝে উৎসবের আমেজ কেউ গান গাচ্ছে কেউ চুলাতে আগুন ধরাতে সহায়তা করছে কেউ্ আবার একটু পর পর উকি দিচ্ছে ইয়ে মানে রান্না কতদুর... ..সারাদিনের ধকলে সবার পেটেই ইদুর দৌড়াচ্ছে ।।

আমাদের প্রধান শফ তানবিরের অসাধারণ নৈপুর্নে অবশেষে রান্নাও শেষ ...মুরগীর ঘ্রাণে কখন জ্বিন ভুত এসে যায় এ চিন্তাতে আমরাও দ্রুত খাওয়া শুরু করলাম ..আহ মনে হলো অমৃত ...খেতে খেতে একেবারে পেট পুরাই ফেললাম ...তারপর মনে হলো পানিতেই শুয়ে পড়ি ….আহ রাত আহ জীবন ..এই কি সেই সুখ যা থেকে লাইফ ইজ বিউটিফুল কথাটির উদ্ভব হয়েছিলো ?

হঠাৎ খেয়াল হলো পূর্বদিকে বনের ভিতরে কেমন যে আলো আলো ..ব্যাপারটা কেমন কেনম যেন..এ সময় একজন চিৎকার দিলো “” আল্লারে দেখ কত্ত বড় চাঁদ …………...সবাই সাথে সাথে দাড়িয়ে দেখি পূর্বাকাশের পূর্ণিমার চাদ আপন মহিমায় আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে সমস্ত বন যেন আলোতে ভেসে যাচ্ছে আর আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠছে সামনে ঘন জঙ্গলের কারণে এতক্ষণ আমরা বুঝতে পারিনি ….এ এক মোহনীয় মাতাল করা সৌন্দর্য্য ..চিৎকার দিয়ে মহান স্রষ্টার শুকরিয়া আদায় করলাম জীবনে এত সৌন্দর্য্য দেখার সৌভাগ্য করে দেবার জন্য ….সৌন্দর্য্যে মাতাল হয়ে ছেলেরা গান ধরলো “” চাঁদনি পসরে কে আমায় স্মরণ করে কে আইসা দাড়াইছে গো আমার দুয়ারে ….আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে …...একটার পর একটা গান চলতেই থাকলো ...

এর মাঝে কয়েকজনের বিয়ার গ্রিলস হবার শখ জাগলো তারা পানিতে নেমে কাকড়া আর চিংড়ি মাছ ধরা শুরু করলো ,ঝিরিতে বেশ কয়েকটা কাকড়া আর চিংড়ি ধরা হলো..ক্যাম্প ফায়ার এর আগুনে এগুলো পুড়িয়ে খাওয়া শুরু হলো ,এত স্বাধ !! এ্কটু আগেইনা পেট পুরে ভাত খেলাম তারপরও এত স্বাধ লাগছে কেন !!! কেমনে সম্ভব !! এবার শুরু হলো কাড়াকাড়ি ,এ বলে আমি খাবো ও বলে আমি খাবো কয়েকজন অল্প পুড়াতেই নিয়ে দিলো দৌড় কেউ কেউ আবার না পেয়ে নিজেরাই নেমে পড়লো কাকড়া ধরতে ….আবার কয়েকজন মুরগীর চামড়া পুড়িয়ে সেগুলো খাওয়া শুরু করলো ..এ যেন বিয়ার গ্রিলস হবার প্রতিযোগীতা...বড় বড় ছেলেদের মাথায় আজ ছোটদের মতো পাগলামির ভুত চাপলো ...
রাতে ঝিরি থেকে কাকড়া ধরা ,মুরগির চামড়া পুড়িয়ে খাওয়া ক্যাম্প ফায়ার সবই হয়েছে 

দুষ্টামি আর হই হুল্লোড় আ্ড্ডা ক্যাম্প ফায়ারে তখন মাঝরাত ..সারাদিনের ধকলটা শরীরকে জানান দিলো যে রাত বিশ্রামের সময় ঘুমের সময় ,এখন বাঁধলো বিপত্তি রাতে ঘুমালে যদি বৃষ্টি আসে কারণ তখন রাতে প্রায়ই বৃষ্টি হতো :( বৃষ্টি আসলে আমাদের পক্ষে এখানে টিকে থাকা অসম্ভব হবে কারণ চারদিকেই ঘন জঙ্গল আর খাড়া পাহাড় বেয়ে উপরে উঠাও সম্ভব হবেনা :( অবশেষে সিদ্ধান্ত হলো অর্ধেক ঘুমাবে আর অর্ধেক জেগে থাকবে ..এভাবে পালা বদল করে ঘুমাতে হবে :(

আমি প্রথমেই ঘুমাতে চলে গেলাম ….রাত সাড়ে তিনটায় হঠাৎ ডাকাডাকি উঠ সবাই উঠ বৃষ্টি আসবে আকাশে প্রচুর মেঘ যেকোন সময় বৃষ্টি নামবে ..বুক কাপ দিয়ে উঠলো !!!! ভয় পেলাম !! কারণ ঝরনার পানি আর আমাদের তাবুর ভিতরে প্রার্থক্য ছিলো দুই ইন্জির মতো তাই হালকা বৃষ্টি হলেই তাবু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে  তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম ..দ্রুত ব্যাক গুছানো শুরু করলাম ...কয়েকমিনিটের মাধ্য সব গুছানো শেষ ...বৃষ্টি আসলে কোনদিক দিয়ে ধারের পাহাড় বেয়ে উঠবো সব ঠিক ঠাক ...এক ধরনের উত্তেজনাও কাজ করছিলো …

না ভাগ্য মনে হয় আমাদের সাথেই ছিলো আস্তে আস্তে আকাশ পরিষ্কার হওয়া শুরু করলো তখন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম ..আবার সব ঠিক ঠাক করে যারা জেগে ছিল তাদেরকে ঘুমাতে পাঠালাম আর আমরা পাহাদার হয়ে থাকলাম ….

আল্লাহর রহমতে সকাল হলো ,এ যেন এক স্নিগ্ধ শুভ্র সকাল :) কেমন যেন একটা পবিত্র পবিত্র ভাব , সবাই ফ্রেশ হয়ে আবারও কাজে নেমে গেলাম কারণ সকালের নাস্তা করেই আমরা ক্যাম্প গুটিয়ে শহরে চলে আসবো …

সকালের মেন্যু ছিলো খিচুরি ,আহ ..সবাই খিচুরি নিলাম কি গরমরে বাবা ..এবার একদম ঝরনাতেই নেমে গেলাম নেমে খিচুরির প্লেট পানিতে ভাসিয়ে ভাসিয়ে খাওয়া শুরু করলাম ….
নে বাবা খা ..নিজেকে ঝরনাতে বিলীন করে দিয়ে খা 

শেষবারের মতো খৈইয়াছড়াতে নিজেকে ভাসিয়ে দিলাম ,লাফ ঝপ্পো গোসল সব করলাম ..এবার ফেরার পালা :) হুম সব গুছিয়ে নিলাম তারপর শুরু হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পলিথিনসহ অপচনশিলসবকিছু পুড়িয়ে দিলাম আর চারপাশের সব ময়লা ধুয়ে পরিষ্কা করে একদম ঝকঝকে একটা ঝরনা করে দিলাম ।।
এটা আমাদের দায়িত্ব আমাদের দেশটা আমারাই গর্ব

না এখনোএডভেঞ্চার শেষ হয়নি ,ইচ্ছা ছিলো যে রাস্তা দিয়ে এসেছি তার বিপরীত দিক দিয়ে ফিরবো মানে খৈইয়াছড়ার উপরের দিকে হাটা শুরু করবো যতক্ষণ পর্যন্ত না লোকালয়ে গিয়ে পৌছাতে পারছি ...সব নিয়ে গুছিয়ে শুরু হলো এবার উপরের দিকের অভিযান ,এ রাস্তাটা সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিলো আমাদের জন্য ..শুরু হলো আরেক অভিযান ..এক জায়গায় এসে আটকে গেলাম ..সামান্য খাড়া ঝরনা কিন্তু উঠা কষ্টকর ...দ্রুত দুইজন এক্সপার্ট উঠে পড়লাম দড়ি বেধে দিলাম গাছে বাকীরা উঠা শুরু করলো তবে কাটা গাছের কারণে ভয় ছিলো কেউ যদি পিছলে যেতো তাহলে বড় দুর্ঘঠনা ঘটতে পারতো শেষ মেষ অবশ্য সবাই ঠিক মত উঠতে পেরেছে ..

ছবির চেয়েও ভয়ংকর ছিলো এখানে উঠা ,কারণ দড়ি ছেড়ে পড়ে গেলে মাথা ফেটে যাবার সম্ভবনা ছিলো আর উঠার সময়  কাঁটাগাছগুলো আর পানির স্রোত যথেষ্ট ভুগিয়েছে :(
একটা কাটালাম সামনে এবার বিশাল ঝরনা ...এ ঝরনা বেয়ে উঠা অসম্ভব ..কিন্তু যেতে হবেই ...বিকল্প রাস্তা খুজতে লাগলাম  রাস্তা খুজে পাওয়া কঠিন চারদিকে উচু উচু পাহাড় সাথে হচ্ছে বৃষ্টি কিভাবে যাবো :(
উপরে উঠার পর এই ঝরনাটা পেয়েছি নাম আমতলী খুম ,এটা পার হতে ঘাম ছুটে গিয়েছিলো 

একটা রাস্তা খুজে পেলাম কিন্তু সবাই কিভাবে এ রাস্তা পাড়ি দিবে সেই শঙ্কা আর ভয় :( না উঠলাম আমরা এক্সপার্ট দুইজন অনেক কষ্টে উঠে দড়ি বাঁধলাম ..মনে ভয় কিছু নতুন ছেলে আছে যদি দুর্ঘটনা ঘটে উপর থকে আমরা ব্যাকআপ আর একজনের সাথে আরেকজন দিয়ে দ্বি স্তরের ব্যাকআপ তৈরি করলাম যেন কিছু হলেও সর্বনিম্ন ক্ষতি হয় অবশেষে এ যাত্রায় পাস করে ফেললাম সবাই সুস্হ এবং সুন্দরভাবে পার হলাম :)

সবাই টায়ার্ড হয়ে পড়েছে শেষ মুহুর্তে দুইটা বিপদজনক পয়েন্ট পার হতেই সবার ঘাম ছুটার অবস্হা ….অবশেষে সফল হলাম :)  উপরে উঠে হালকা বিস্কিট আর পানি খেয়ে আবারও শুরু হাটা ….হাটতে হাটতে ক্লান্ত কিন্তু লোকালয়ের কোন দেখা নেই ...মনে প্রশ্ন আসলো আমরা কি ভুল করে ফেললাম ? ….কিন্তু এখন আর নিজেকে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই এখন শুধু সমাধানের সময় ...হাটতে লাগলাম …...যাক অবশেষে সমাধান…..ওই যে লোকালয়ের দেখা ..মনে হলো জীবন ফিরে পেলাম কারণ আমরা জানতাম না ঠিক কতটুকু হাটতে হবে ……..

স্হানীয় দোকানে ঢুকেই কথা বিস্কিক কেক যে যা পারলো খেলো সবার মনে হলো জীবন ফিরে পেয়েছে ...তারপর কি ? তারপর স্হানীয় দোকানে ঢুকে পেট পুরে খেলাম তারপর কুমিল্লার বাসে করে সবাই বাসে ….হ্যালো মা !!! আমি আসছি :) 
এবং এটা আমি লেখক বিল্লাহ মামুন :)  আমার জীবনের অসম্ভব সুন্দর একটা মুহুর্ত ছিলো ,এখনও মন হলে কেমন যেন ভিতর থেকে একটা রিফ্রেশমেন্ট ফিল আসে :)



এতটুকু পড়ে নিশ্চয় মনে হচ্ছে আরে ভাই যাবো কিভাবে এটাতো বলে যান তাইনা ?

খুব সহজ ঢাকা বা চট্রগ্রামের দিক থেকে বাসে উঠে দিক থেকে যেকোন বাসে উঠে সীতাকুন্ড আর মিরসরাই এর মাঝখানের বাজার বড় তাকিয়াতে নামিয়ে দিতে বলবেন :) খৈইয়াছড়া খুবই পরিচিত একটা ঝরনা ওখানে ।। বড়তাকিয়া বাজারে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই যাবার রাস্তাটা দেখিয়ে দিবে ।। বাজার থেকে এক ঘন্টার মত হাটলেই আপনি খৈইয়াছড়া ঝরনার সামনে চলে আসবেন :) 

এছাড়া আমাকেও ফেইসবুকে নক দিতে পারেন 

আমার বাকী ভ্রমণকাহিনীগুলো পড়তে পারেন এখান থেকে 

0 comments:

Post a Comment

লেখাটি শেয়ার করুন