(তথ্যগুলো একত্র করেছেন ডা: মিজানুর রহমান ভাই)
কাশ্মীরকে বলা হয় ভূস্বর্গ,কেন বলা হয় ! ? যতক্ষণ পর্যন্তনা আপনি নিজ চোখে কাশ্মীরের সৌন্দর্য্য দেখবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না কেন কাশ্মীরকে ভূস্বর্গে ভুষিত করেছিলো রাজা বাদশা কবি সাহিত্যিক আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা :) দিগন্তজোড়া উঁচু উঁচু পাহাড়ের বুকে সাদা শুভ্র বরফের খেলা যেন কাশ্মীর উপত্যকাটিকে করে তুলেছে ভূর্স্বগে :)
কাশ্মীর হিমালয়ান পর্বতমালার সবচেয়ে বড় উপত্যকা ,বিখ্যাত কবি আমির খসরু কাশ্মীরের রুপে মুগ্ধ হয়ে যা লিখেছিলেন তাই পরবর্তীতে বিখ্যাত হয়েছিলো মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের মুখ থেকে উচ্চারণের কারণে বাদশাহ জাহাঙ্গির কাশ্মীরের রুপে মুগ্ধ হয়ে এখানেই মৃত্যুবরণের ইচ্ছা প্রকাশ করে কবি আমির খসরুর লাইনটি উচ্চারণ করেছিলেন
‘আগার ফেরদৌস বে-রোহী যামীন আস্ত্। হামীন আস্ত্, হামীন আস্ত্, হামীন আস্ত্।
অর্থাৎ পৃথিবীতে কোনো বেহেশত থেকে থাকে, তাহলে তা এখানে, এখানে, এখানে।
মোঘল সম্রাটরা দিল্লীর গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে নিস্তার পেতে অবকাশ যাপনের জন্য ছুটে আসতেন কাশ্মীরে। চশমাশাহী, পরিমহল, শালিমার, নিশাত, ভেরি নাগ এসব মোগল গার্ডেন ইত্যাদি তারই স্বাক্ষ্য বহন করছে।
শুধু কি মোগল বাদশারা ? বর্তমানে সমস্ত পৃথিবী থেকেই ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা ভূস্বর্গ কাশ্মীর দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন এখানে ।।
তো চলুন আমরা জানার বুঝার চেষ্টা করি বাংলাদেশ থেকে এই ভুস্বর্গে আমরা কিভাবে সহজে এবং কম খরচে ঘুরে আসতে পারি ।
এপ্রিল মে বসন্তকালঃ এই সময় ফুলে ভরা ভ্যালী। টিউলিপ ফুলও দেখতে পারবেন। আর শীতের পরপরই তাই বরফ ও অনেক। এই সময়টা কাশ্মীরের জন্য বেস্ট সময় বলা যায় ।।
সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর শরৎকালঃ এই সময়ে বরফ কিছুটা কম থাকবে। তবে উপরের দিকে পাওয়া যাবে। যেমন, গুলমার্গ গন্ডোলার ২য় ফেজে, সোনামার্গের থাজিওয়াস হিমবাহে। এই সময় ফল পাওয়া যাবে। গাছে গাছে আপেল ঝুলে থাকবে। আর তার সাথে চিনার গাছের রঙ্গিন রুপ।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি শীতকালঃ এই সময়ে দেখবেন সাদা শুভ্র পাহাড়। চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ আর Snow fall তো আছেই। তবে শীতকালে অসুবিধাও অনেক। শীতের অনেক প্রস্তুতি নিতে হবে, রাস্তা-ঘাট বন্ধ থাকে ফলে অনেক জায়গায় যেতেই পারবেন না।
তাই সবদিক বিবেচনা করলে এবং আপনি যদি একবার যেতে চান, তাহলে এপ্রিল-মে উপযুক্ত সময়। কারণ সে সময় বরফও পাবেন টিউলিপও পাবেন
প্রথমে ট্রেনে কিভাবে যেতে হবে সেটা বলি , ট্রেনে যেতে চাইলে আপনাকে ঢাকা থেকে কলকাতা কলকাতা থেকে জম্মু যেতে হবে এবং সেখান থেকে গাড়ী করে শ্রীনগর।
কলকাতা থেকে জম্মু যাওয়ার দুটি ট্রেন আছে। হিমগিরি ও জম্মু তাওয়াই, হিমগিরি সপ্তাহে ৩ দিন (মঙ্গল, শুক্র ও শনিবার) রাত ১১:৫০ টায় হাওড়া থেকে জম্মুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সময় লাগে ৩৫ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। আর জম্মু তাওয়াই প্রতিদিন চললেও সময় একটু বেশী লাগে।
অনেকে আবার ট্রেনে দিল্লী গিয়ে আগ্রার তাজমহল এগুলো ঘুরে কাশ্মীর যায় সেক্ষেত্রে আপনি দিল্লী চলে যান সেখানে ঘুরে তারপর জম্মুর এভেইলেভেল ট্রেন পাবেন ।। কলকাতা থেকে দিল্লি যাবার ট্রেন সবসময়ই পাবেন ।।তবে রাজধানী এক্সপ্রেস আর দুরন্ত এক্সপ্রেসে আপনি ১৮ ঘন্টাতে পৌছে যেতে পারবেন অন্যান্যগুলোতে বেশি সময় লাগবে ।
কলকাতা থেকে জম্মু পর্যন্ত নন এসি স্লিপার ২২০০-২৫০০/- বাংলাদেশী টাকায় আর এসি ৩৩০০-৩৫০০/-টাকা পড়বে। এরপর জম্মু থেকে শ্রীনগর গাড়ীতে ৬ জনের দল হলে পার হেড ৬০০-৮০০/- টাকায় হয়ে যাবে। জম্মু থেকে শ্রীনগর যেতে সময় লাগবে ৮-১০ ঘন্টা।
ট্রেনের টিকেট দেশের যেকোন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে অগ্রিম কেটে রাখতে পারেন অথবা গিয়েও কাটতে পারেন যেমন আপনার খুশি ।। ট্রেন বা বিমানের টিকেট কাটতে হেল্প করতে পারি আমাকে ফেইসবুকে নক দিতে পারেন
এবার আসি বিমানে যারা যেতে চান তারা কি করবেন
কাশ্মীর যেতে হলে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক বিমানে প্রথম যেতে হবে দিল্লি ইন্ধিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেখান থেকে শ্রীনগর। অথবা ঢাকা থেকে কলকাতা যাবেন ট্রেনে বা বাসে পরে সেখান থেকে ডোমেস্টিক বিমানে জম্মু অথবা শ্রীনগর বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে। কলকাতা থেকে সরাসরি শ্রীনগরে কোনো ফ্লাইট নেই তাই, দিল্লি হয়ে যেতে হয়।
বিমানের টিকেট শ্রীনগর পর্যন্ত ১২-২০ হাজার টাকা বিভিন্ন মৌসুমের উপর নির্ভর করবে। তবে বিমান খরচ কমানোর সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হলো বাংলাদেশের কোন ট্রাভেল এজেন্সি দিয়ে যত আগে সম্ভব ১/২ মাস আগে বিমানের টিকেট কেটে রাখা এতে সস্তায় বিমানের টিকেট পাওয়া যায় ।
#কোন_স্থল_বন্দর_দিয়ে_ঢুকবেনঃ
দর্শনা বা বেনাপোল দিয়ে ঢোকায় ভাল হবে।
১।বেনাপোল (বেনাপোল-পেট্রাপোল) : ঢাকা থেকে যেকোন বাসে পৌছে যান সরাসরি বেনাপোল । সীমান্তে দুই দেশের ইমিগ্রেশন পেরিয়ে আরেকটি অটোরিকশায় ২০ রুপি নেবে বনগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত। বনগাঁও থেকে কলকাতার ট্রেন পাওয়া যায় প্রায় প্রতি ঘণ্টায়ই। টিকেট হবে ২০-৩০ রুপি।
এছাড়া গ্রিনলাইন শ্যামলী সহ বেশকিছু বাস সার্ভিস সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত যায় ।।
ট্রেনেও ঢাকা থেকে যেতে পারেন সরাসরি কলকাতা ভাড়া পড়বে ৬৫০ টাকার মতো ।। কমলাপুর বা চিটাগাং স্টেশনে টিকেট পাবেন ।
কলকাতা হয়ে যাওয়াটা বেস্ট কারণ কলকাতাটাও দেখা হয়ে গেলো :)
২। দর্শনা - গেদে দিয়ে যদি যেতে চান তাহলে প্রথমে দর্শনা হল্ট স্টেশনে যেতে হবে। এখান থেকে চেকপোস্ট ৫ কিঃমিঃ এর মত। আপনি অটোরিকশা বা ভ্যানে চলে যান। ভারতের দিকের চেকপোস্ট গেদে রেল স্টেশনেই। এখান থেকে ১ ঘন্টা ৩০ মিঃ পরপর ট্রেন আছে। ভাড়া শেয়ালদহ পর্যন্ত ৩০ রুপি ও দমদম জং ২৫ রুপি। আপনি যদি বিমানে শ্রীনগর যান তাহলে দমদম নামবেন আর ট্রেনে গেলে শিয়ালদহ।
সীমান্ত পেরিয়ে আপনার ডলারগুলো রুপিতে কনভার্ট করে নিবেন তবে কনভার্ট করার আগে অনলাইনে রেটটা জেনে নিবেন ।। এছাড়া কলকাতাতেও ভালো রেটে কনভার্ট করে নিতে পারবেন ।
থাকার ব্যবস্হা ? :
এবার দেখি থাকার ব্যবস্হা কি , থাকার জন্য প্রচুর হোটেল পাবেন কাশ্মীরে ।।
নানা মানের নানা ধরনের হোটেল পাবেন কাশ্মীর যেখানে ৫০০-৩০০০ রুপি পড়বে । এর চেয়ে দামী দামী হোটেল পাবেন ।। আপনার বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী নিয়ে নিন হোটেল ।।
১। শ্রীনগরে- মোঘল গার্ডেন, টিউলিপ গার্ডেন, ডাল লেক ও নাগিন লেকে শিকারা রাইড, হযরত বাল মসজিদ।
২। গুলমার্গেঃ গন্ডোলা (ক্যাবল কার), গলফ কোর্স, বাবা ঋষির মাজার,আফারওয়াত পিক, সেন্ট ম্যারী চার্চ।
৩। পেহেলগামঃ লিদার নদী, বেতাব ভ্যালী, আরু ভ্যালী, চন্দন বাড়ী এবং ঘোড়ায় ট্রেকিং করে পেহেলগাম ভিউপয়েন্ট, মিনি সুইজারল্যান্ড খ্যাত বাইসারান, ধাবিয়ান, কাশ্মীর ভ্যালী ভিউপয়েন্ট, কানিমার্গ, Waterfall, তুলিয়ান ভ্যালী ইত্যাদি। পায়ে হেঁটেও যাওয়া যায়। তবে বৃষ্টি হলে রাস্তা অনেক পিচ্ছিল থাকে। আর তাছাড়া ঘোড়ায় চড়লে একটু Adventure ও হয়।
৪। সোনামার্গ ঃ প্রধানত থাজিওয়াস হিমবাহ। এছাড়া সিন্ধ নদী, Waterfall, বাজরাঙ্গী ভাইজান ও রাম তেরে গঙ্গা মেরে ছবির স্যুটিং স্পট।
এবার আমরা দেখি এই প্রধান স্পটগুলো ঘুরে দেখার জন্য কিভাবে প্লান করা যেতে পারে
দিন-১ঃ শ্রীনগর
দিন-২ঃ পেহেলগাম (পেহেলগামে রাতে থাকবেন)
দিন-৩ঃ পেহেলগাম (পেহেলগাম দেখা শেষ করে শ্রীনগরে আবারও ফিরে আসবেন)
দিন-৪ঃ গুলমার্গ (গুলমার্গ দেখে শ্রীনগরে ফিরে আসবেন)
দিন-৫ঃ সোনামার্গ (রাতে হাউজ বোট ডাললেক ,শ্রীনগর থাকবেন থাকবেন)
এভাবে প্লান করলে আপনি ৫ দিনে মোটামুটি কভার করে ফেলতে পারবেন :) তবে আমি শুধুমাত্র একটা গাইডলাইন দিয়ে দিলাম আপনি আপনার মতো কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন ।
সব জায়গাতেই রিজার্ভ গাড়ী নিতে হবে আপনাকে চারজন বসার মতো গাড়ীগুলো ১২০০-১৫০০ নিবে এর চেয়ে বড়গুলো ২-৩ হাজার নিবে আপনি যাচাই করে দাম দর করে গাড়ী ঠিক করবেন ,কিন্তু এরপরও কথা আছে কাশ্মীরে এক জোনের গাড়ী আরেকজোন পর্যন্ত আপনাকে নিয়ে যাবে কিন্তু টুরিস্ট প্লেসগুলো দেখার জন্য আবার গাড়ী নিতে হবে ওখানকার যেমন পেহেলগাম ও সোনামার্গে রিজার্ভ গাড়ীতে যাওয়ার পর আবারও ওখানকার গাড়ী ভাড়া করতে হবে। যেমন পেহেলগামে থেকে আরু ভ্যালী ও চন্দনবাড়ী যেতে ভাড়া ১৬০০ রুপি। পেহেলগামে ৬ পয়েন্ট (পেহেলগাম ভিউপয়েন্ট, ধাবিয়ান, বাইসারান, কানিমার্গ, কাশ্মীর ভ্যালী ভিউ পয়েন্ট, waterfall) ঘোড়ায় প্রতিজনের ১৫০০-২০০০ রুপি। এদিকে সোনামার্গ থেকে থাজিওয়াস হিমবাহ গাড়ী ভাড়া ২৫০০- ৩৫০০/- রুপি।
কি বুঝে গেলো ব্যাপারটা ?
সত্যি বলতে খরচটা নির্ভর করে আপনার উপরে আপনি কতটা খরুচে বা বিলাসীতা প্রিয় এর উপর ।। তারপরও আমি একটা আইডিয়া দিয়ে দিচ্ছি । আপনার বাজেট ২৫- ৩০ হাজার টাকায় ঘুরে আসতে পারবেন ।। এটা একটা রাফ হিসেব খরচ বাড়তেও পারে আবার আপনি চাইলে কমতেও পারে নির্ভর করে আপনার উপর ।। আমি শুধু একটা ধারণা দিলাম । তবে এজ পার মাই সাজেশন আসার সময় শ্রীনগর থেকে কলকাতা সরাসরি বিমানে চলে আসতে পারেন কারণ শ্রীনগর থেকে কলকাতা ট্রেনে প্রায় ৪৫ ঘন্টার জার্নি যা আপনার হয়তো বিরক্তির কারণ হতে পারে । এয়ারে ৪-৫ ঘন্টায়ই কলকাতা পৌছে যেতে পারবেন । এক দেড় মাস আগে বিমানের টিকেট কাটলে অনেক কমে কাটতে পারবেন ।
এবার কিছু দরকারী টিপস শেয়ার করি
১। কাশ্মীর পর্যটন এলাকা। এখানে সবকিছুর দাম বেশী চাইবে। তাই যাই করুন না কেনো, দরদাম করতে ভুলবেন না। তবে ভদ্রভাবে কথা বলবেন অবশ্যই।
২। এখানকার খাবারে মশলা বেশী থাকায় আমরা বাংলাদেশীরা খেতে সমস্যা হয়। ভাতের দামও অনেক বেশী । তাই রুটি খেলে খরচ কম হবে এবং খাওয়াও যাবে।
৩। সন্ধ্যা ৮টার পর হোটেলের বাইরে অযথা ঘোরাফেরা করবেন না। আর হ্যাঁ, কেনাকাটা করতে চাইলে রাত ৮ টার মধ্যেই সারুন। কারন রাত ৮ টার পর দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
৪। যেখানেই যান পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।
৫। কাশ্মীর মুসলিম প্রধান (৯৯%)। তাই মুসলিম হলে পরিচয় দিলে সুবিধা পাবেন। আর একটি কথা কাশ্মীরীরা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে খুব পছন্দ করে এবং সাকিব আল হাসানের খুবই ভক্ত। তাই বাংলাদেশী পরিচয় দিন নির্দিধায়।
৬/ট্রাভেল ট্র্যাক্স ৫০০ টাকা যাবার আগে সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় দিয়ে দিলেই হবে তাহলে সীমান্তে আর এই ঝামেলাটা থাকলোনা ।।
প্রয়োজনে আপনি যাদের সাহায্য নিতে পারেন
৭। ইজাজ আহমেদ, কাশ্মীরের একজন গাড়ীর ড্রাইভার মোবাইল নং- +৯১৯৬২২৮২৩৩৯৫
৮/ ভিসা ,ট্রেন বা এয়ার টিকেটের ব্যাপারে আমিও আপনাকে হেল্প করতে পারবো সেজন্য আমাকে ফেইসবুকে নক দিতে পারেন :) এই লিংকে
এছাড়া আমার ট্রাভেলিং গ্রুপ স্বপ্নযাত্রা এর ফেইসবুক গ্রুপেও যোগ দিতে পারেন ট্রাভেল রিলেটেড যেকোন কিছু জানতে অথবা আমাদের সাথে কম মুল্যে ঘুরতে পারেন ।
ট্রাভেল রিলেটেড যেকোন হেল্প ট্রাভেল রিলেটড ব্লগিং এর নিয়মিত পোস্টগুলো পাবার জন্য আমাকে নক করতে পারেন ফেইসবুকে বা ফলোও করতে পারেন :)
যারা একেবারে নতুন তারা ভারতের ভিসা কিভাবে করবেন তা নিয়ে চিন্তা করার কোন দরকার নেই আমার এই পোস্টটি পড়লে আপনি সব জানতে পারবেন
দার্জিলিং ঘুরে আসতে চান তারা দার্জিলিং এর ভ্রমনগল্পটি পড়তে পারেন
আমার লেখা সবগুলো ভ্রমণ কাহিনী পাবেন এখানে
কাশ্মীরকে বলা হয় ভূস্বর্গ,কেন বলা হয় ! ? যতক্ষণ পর্যন্তনা আপনি নিজ চোখে কাশ্মীরের সৌন্দর্য্য দেখবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না কেন কাশ্মীরকে ভূস্বর্গে ভুষিত করেছিলো রাজা বাদশা কবি সাহিত্যিক আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা :) দিগন্তজোড়া উঁচু উঁচু পাহাড়ের বুকে সাদা শুভ্র বরফের খেলা যেন কাশ্মীর উপত্যকাটিকে করে তুলেছে ভূর্স্বগে :)
‘আগার ফেরদৌস বে-রোহী যামীন আস্ত্। হামীন আস্ত্, হামীন আস্ত্, হামীন আস্ত্।
অর্থাৎ পৃথিবীতে কোনো বেহেশত থেকে থাকে, তাহলে তা এখানে, এখানে, এখানে।
মোঘল সম্রাটরা দিল্লীর গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে নিস্তার পেতে অবকাশ যাপনের জন্য ছুটে আসতেন কাশ্মীরে। চশমাশাহী, পরিমহল, শালিমার, নিশাত, ভেরি নাগ এসব মোগল গার্ডেন ইত্যাদি তারই স্বাক্ষ্য বহন করছে।
শুধু কি মোগল বাদশারা ? বর্তমানে সমস্ত পৃথিবী থেকেই ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা ভূস্বর্গ কাশ্মীর দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন এখানে ।।
তো চলুন আমরা জানার বুঝার চেষ্টা করি বাংলাদেশ থেকে এই ভুস্বর্গে আমরা কিভাবে সহজে এবং কম খরচে ঘুরে আসতে পারি ।
কাশ্নীর যাবার উপযুক্ত সময় কখন :
কাশ্মীর ঘোরার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তবে যে সময়ই যান সবসময়ই কম হোক বেশি হোক কাশ্মীরের রুপ আপনাকে মুগ্ধ করবেই । তবে কাশ্মীরের পুরো রুপ দেখতে চাইলে আপনাকে অন্তত তিনবার যেতে হবে।এপ্রিল মে বসন্তকালঃ এই সময় ফুলে ভরা ভ্যালী। টিউলিপ ফুলও দেখতে পারবেন। আর শীতের পরপরই তাই বরফ ও অনেক। এই সময়টা কাশ্মীরের জন্য বেস্ট সময় বলা যায় ।।
সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর শরৎকালঃ এই সময়ে বরফ কিছুটা কম থাকবে। তবে উপরের দিকে পাওয়া যাবে। যেমন, গুলমার্গ গন্ডোলার ২য় ফেজে, সোনামার্গের থাজিওয়াস হিমবাহে। এই সময় ফল পাওয়া যাবে। গাছে গাছে আপেল ঝুলে থাকবে। আর তার সাথে চিনার গাছের রঙ্গিন রুপ।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি শীতকালঃ এই সময়ে দেখবেন সাদা শুভ্র পাহাড়। চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ আর Snow fall তো আছেই। তবে শীতকালে অসুবিধাও অনেক। শীতের অনেক প্রস্তুতি নিতে হবে, রাস্তা-ঘাট বন্ধ থাকে ফলে অনেক জায়গায় যেতেই পারবেন না।
তাই সবদিক বিবেচনা করলে এবং আপনি যদি একবার যেতে চান, তাহলে এপ্রিল-মে উপযুক্ত সময়। কারণ সে সময় বরফও পাবেন টিউলিপও পাবেন
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর যাবো কিভাবে ?
কাশ্মীর আপনি বাস ট্রেন এয়ার মিলিয়ে বা যেকোন পদ্ধতিতেই যেতে পারবেন :)
প্রথমে ট্রেনে কিভাবে যেতে হবে সেটা বলি , ট্রেনে যেতে চাইলে আপনাকে ঢাকা থেকে কলকাতা কলকাতা থেকে জম্মু যেতে হবে এবং সেখান থেকে গাড়ী করে শ্রীনগর।
কলকাতা থেকে জম্মু যাওয়ার দুটি ট্রেন আছে। হিমগিরি ও জম্মু তাওয়াই, হিমগিরি সপ্তাহে ৩ দিন (মঙ্গল, শুক্র ও শনিবার) রাত ১১:৫০ টায় হাওড়া থেকে জম্মুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সময় লাগে ৩৫ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। আর জম্মু তাওয়াই প্রতিদিন চললেও সময় একটু বেশী লাগে।
অনেকে আবার ট্রেনে দিল্লী গিয়ে আগ্রার তাজমহল এগুলো ঘুরে কাশ্মীর যায় সেক্ষেত্রে আপনি দিল্লী চলে যান সেখানে ঘুরে তারপর জম্মুর এভেইলেভেল ট্রেন পাবেন ।। কলকাতা থেকে দিল্লি যাবার ট্রেন সবসময়ই পাবেন ।।তবে রাজধানী এক্সপ্রেস আর দুরন্ত এক্সপ্রেসে আপনি ১৮ ঘন্টাতে পৌছে যেতে পারবেন অন্যান্যগুলোতে বেশি সময় লাগবে ।
কলকাতা থেকে জম্মু পর্যন্ত নন এসি স্লিপার ২২০০-২৫০০/- বাংলাদেশী টাকায় আর এসি ৩৩০০-৩৫০০/-টাকা পড়বে। এরপর জম্মু থেকে শ্রীনগর গাড়ীতে ৬ জনের দল হলে পার হেড ৬০০-৮০০/- টাকায় হয়ে যাবে। জম্মু থেকে শ্রীনগর যেতে সময় লাগবে ৮-১০ ঘন্টা।
ট্রেনের টিকেট দেশের যেকোন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে অগ্রিম কেটে রাখতে পারেন অথবা গিয়েও কাটতে পারেন যেমন আপনার খুশি ।। ট্রেন বা বিমানের টিকেট কাটতে হেল্প করতে পারি আমাকে ফেইসবুকে নক দিতে পারেন
এবার আসি বিমানে যারা যেতে চান তারা কি করবেন
কাশ্মীর যেতে হলে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক বিমানে প্রথম যেতে হবে দিল্লি ইন্ধিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেখান থেকে শ্রীনগর। অথবা ঢাকা থেকে কলকাতা যাবেন ট্রেনে বা বাসে পরে সেখান থেকে ডোমেস্টিক বিমানে জম্মু অথবা শ্রীনগর বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে। কলকাতা থেকে সরাসরি শ্রীনগরে কোনো ফ্লাইট নেই তাই, দিল্লি হয়ে যেতে হয়।
বিমানের টিকেট শ্রীনগর পর্যন্ত ১২-২০ হাজার টাকা বিভিন্ন মৌসুমের উপর নির্ভর করবে। তবে বিমান খরচ কমানোর সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হলো বাংলাদেশের কোন ট্রাভেল এজেন্সি দিয়ে যত আগে সম্ভব ১/২ মাস আগে বিমানের টিকেট কেটে রাখা এতে সস্তায় বিমানের টিকেট পাওয়া যায় ।
#কোন_স্থল_বন্দর_দিয়ে_ঢুকবেনঃ
দর্শনা বা বেনাপোল দিয়ে ঢোকায় ভাল হবে।
১।বেনাপোল (বেনাপোল-পেট্রাপোল) : ঢাকা থেকে যেকোন বাসে পৌছে যান সরাসরি বেনাপোল । সীমান্তে দুই দেশের ইমিগ্রেশন পেরিয়ে আরেকটি অটোরিকশায় ২০ রুপি নেবে বনগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত। বনগাঁও থেকে কলকাতার ট্রেন পাওয়া যায় প্রায় প্রতি ঘণ্টায়ই। টিকেট হবে ২০-৩০ রুপি।
এছাড়া গ্রিনলাইন শ্যামলী সহ বেশকিছু বাস সার্ভিস সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত যায় ।।
ট্রেনেও ঢাকা থেকে যেতে পারেন সরাসরি কলকাতা ভাড়া পড়বে ৬৫০ টাকার মতো ।। কমলাপুর বা চিটাগাং স্টেশনে টিকেট পাবেন ।
কলকাতা হয়ে যাওয়াটা বেস্ট কারণ কলকাতাটাও দেখা হয়ে গেলো :)
২। দর্শনা - গেদে দিয়ে যদি যেতে চান তাহলে প্রথমে দর্শনা হল্ট স্টেশনে যেতে হবে। এখান থেকে চেকপোস্ট ৫ কিঃমিঃ এর মত। আপনি অটোরিকশা বা ভ্যানে চলে যান। ভারতের দিকের চেকপোস্ট গেদে রেল স্টেশনেই। এখান থেকে ১ ঘন্টা ৩০ মিঃ পরপর ট্রেন আছে। ভাড়া শেয়ালদহ পর্যন্ত ৩০ রুপি ও দমদম জং ২৫ রুপি। আপনি যদি বিমানে শ্রীনগর যান তাহলে দমদম নামবেন আর ট্রেনে গেলে শিয়ালদহ।
সীমান্ত পেরিয়ে আপনার ডলারগুলো রুপিতে কনভার্ট করে নিবেন তবে কনভার্ট করার আগে অনলাইনে রেটটা জেনে নিবেন ।। এছাড়া কলকাতাতেও ভালো রেটে কনভার্ট করে নিতে পারবেন ।
এবার দেখি থাকার ব্যবস্হা কি , থাকার জন্য প্রচুর হোটেল পাবেন কাশ্মীরে ।।
নানা মানের নানা ধরনের হোটেল পাবেন কাশ্মীর যেখানে ৫০০-৩০০০ রুপি পড়বে । এর চেয়ে দামী দামী হোটেল পাবেন ।। আপনার বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী নিয়ে নিন হোটেল ।।
কাশ্মীকে কোথায় কোথায় ঘুরবেন :
কাশ্মীর পুরোটাই ভ্রমণপিপাসুদের জন্য স্বর্গ ।। তারপরও ভিন্ন ভিন্ন লোকেশনে বেশ কিছু টুরিস্ট স্পটের তালিকা দিলাম । ১। শ্রীনগরে- মোঘল গার্ডেন, টিউলিপ গার্ডেন, ডাল লেক ও নাগিন লেকে শিকারা রাইড, হযরত বাল মসজিদ।
২। গুলমার্গেঃ গন্ডোলা (ক্যাবল কার), গলফ কোর্স, বাবা ঋষির মাজার,আফারওয়াত পিক, সেন্ট ম্যারী চার্চ।
৩। পেহেলগামঃ লিদার নদী, বেতাব ভ্যালী, আরু ভ্যালী, চন্দন বাড়ী এবং ঘোড়ায় ট্রেকিং করে পেহেলগাম ভিউপয়েন্ট, মিনি সুইজারল্যান্ড খ্যাত বাইসারান, ধাবিয়ান, কাশ্মীর ভ্যালী ভিউপয়েন্ট, কানিমার্গ, Waterfall, তুলিয়ান ভ্যালী ইত্যাদি। পায়ে হেঁটেও যাওয়া যায়। তবে বৃষ্টি হলে রাস্তা অনেক পিচ্ছিল থাকে। আর তাছাড়া ঘোড়ায় চড়লে একটু Adventure ও হয়।
৪। সোনামার্গ ঃ প্রধানত থাজিওয়াস হিমবাহ। এছাড়া সিন্ধ নদী, Waterfall, বাজরাঙ্গী ভাইজান ও রাম তেরে গঙ্গা মেরে ছবির স্যুটিং স্পট।
এবার আমরা দেখি এই প্রধান স্পটগুলো ঘুরে দেখার জন্য কিভাবে প্লান করা যেতে পারে
দিন-১ঃ শ্রীনগর
দিন-২ঃ পেহেলগাম (পেহেলগামে রাতে থাকবেন)
দিন-৩ঃ পেহেলগাম (পেহেলগাম দেখা শেষ করে শ্রীনগরে আবারও ফিরে আসবেন)
দিন-৪ঃ গুলমার্গ (গুলমার্গ দেখে শ্রীনগরে ফিরে আসবেন)
দিন-৫ঃ সোনামার্গ (রাতে হাউজ বোট ডাললেক ,শ্রীনগর থাকবেন থাকবেন)
এভাবে প্লান করলে আপনি ৫ দিনে মোটামুটি কভার করে ফেলতে পারবেন :) তবে আমি শুধুমাত্র একটা গাইডলাইন দিয়ে দিলাম আপনি আপনার মতো কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন ।
সব জায়গাতেই রিজার্ভ গাড়ী নিতে হবে আপনাকে চারজন বসার মতো গাড়ীগুলো ১২০০-১৫০০ নিবে এর চেয়ে বড়গুলো ২-৩ হাজার নিবে আপনি যাচাই করে দাম দর করে গাড়ী ঠিক করবেন ,কিন্তু এরপরও কথা আছে কাশ্মীরে এক জোনের গাড়ী আরেকজোন পর্যন্ত আপনাকে নিয়ে যাবে কিন্তু টুরিস্ট প্লেসগুলো দেখার জন্য আবার গাড়ী নিতে হবে ওখানকার যেমন পেহেলগাম ও সোনামার্গে রিজার্ভ গাড়ীতে যাওয়ার পর আবারও ওখানকার গাড়ী ভাড়া করতে হবে। যেমন পেহেলগামে থেকে আরু ভ্যালী ও চন্দনবাড়ী যেতে ভাড়া ১৬০০ রুপি। পেহেলগামে ৬ পয়েন্ট (পেহেলগাম ভিউপয়েন্ট, ধাবিয়ান, বাইসারান, কানিমার্গ, কাশ্মীর ভ্যালী ভিউ পয়েন্ট, waterfall) ঘোড়ায় প্রতিজনের ১৫০০-২০০০ রুপি। এদিকে সোনামার্গ থেকে থাজিওয়াস হিমবাহ গাড়ী ভাড়া ২৫০০- ৩৫০০/- রুপি।
কি বুঝে গেলো ব্যাপারটা ?
কাশ্মীরে ঘুরে আসতে খরচ কেমন হবে
সত্যি বলতে খরচটা নির্ভর করে আপনার উপরে আপনি কতটা খরুচে বা বিলাসীতা প্রিয় এর উপর ।। তারপরও আমি একটা আইডিয়া দিয়ে দিচ্ছি । আপনার বাজেট ২৫- ৩০ হাজার টাকায় ঘুরে আসতে পারবেন ।। এটা একটা রাফ হিসেব খরচ বাড়তেও পারে আবার আপনি চাইলে কমতেও পারে নির্ভর করে আপনার উপর ।। আমি শুধু একটা ধারণা দিলাম । তবে এজ পার মাই সাজেশন আসার সময় শ্রীনগর থেকে কলকাতা সরাসরি বিমানে চলে আসতে পারেন কারণ শ্রীনগর থেকে কলকাতা ট্রেনে প্রায় ৪৫ ঘন্টার জার্নি যা আপনার হয়তো বিরক্তির কারণ হতে পারে । এয়ারে ৪-৫ ঘন্টায়ই কলকাতা পৌছে যেতে পারবেন । এক দেড় মাস আগে বিমানের টিকেট কাটলে অনেক কমে কাটতে পারবেন ।
এবার কিছু দরকারী টিপস শেয়ার করি
১। কাশ্মীর পর্যটন এলাকা। এখানে সবকিছুর দাম বেশী চাইবে। তাই যাই করুন না কেনো, দরদাম করতে ভুলবেন না। তবে ভদ্রভাবে কথা বলবেন অবশ্যই।
২। এখানকার খাবারে মশলা বেশী থাকায় আমরা বাংলাদেশীরা খেতে সমস্যা হয়। ভাতের দামও অনেক বেশী । তাই রুটি খেলে খরচ কম হবে এবং খাওয়াও যাবে।
৩। সন্ধ্যা ৮টার পর হোটেলের বাইরে অযথা ঘোরাফেরা করবেন না। আর হ্যাঁ, কেনাকাটা করতে চাইলে রাত ৮ টার মধ্যেই সারুন। কারন রাত ৮ টার পর দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
৪। যেখানেই যান পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।
৫। কাশ্মীর মুসলিম প্রধান (৯৯%)। তাই মুসলিম হলে পরিচয় দিলে সুবিধা পাবেন। আর একটি কথা কাশ্মীরীরা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে খুব পছন্দ করে এবং সাকিব আল হাসানের খুবই ভক্ত। তাই বাংলাদেশী পরিচয় দিন নির্দিধায়।
৬/ট্রাভেল ট্র্যাক্স ৫০০ টাকা যাবার আগে সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় দিয়ে দিলেই হবে তাহলে সীমান্তে আর এই ঝামেলাটা থাকলোনা ।।
প্রয়োজনে আপনি যাদের সাহায্য নিতে পারেন
৭। ইজাজ আহমেদ, কাশ্মীরের একজন গাড়ীর ড্রাইভার মোবাইল নং- +৯১৯৬২২৮২৩৩৯৫
৮/ ভিসা ,ট্রেন বা এয়ার টিকেটের ব্যাপারে আমিও আপনাকে হেল্প করতে পারবো সেজন্য আমাকে ফেইসবুকে নক দিতে পারেন :) এই লিংকে
এছাড়া আমার ট্রাভেলিং গ্রুপ স্বপ্নযাত্রা এর ফেইসবুক গ্রুপেও যোগ দিতে পারেন ট্রাভেল রিলেটেড যেকোন কিছু জানতে অথবা আমাদের সাথে কম মুল্যে ঘুরতে পারেন ।
ট্রাভেল রিলেটেড যেকোন হেল্প ট্রাভেল রিলেটড ব্লগিং এর নিয়মিত পোস্টগুলো পাবার জন্য আমাকে নক করতে পারেন ফেইসবুকে বা ফলোও করতে পারেন :)
যারা একেবারে নতুন তারা ভারতের ভিসা কিভাবে করবেন তা নিয়ে চিন্তা করার কোন দরকার নেই আমার এই পোস্টটি পড়লে আপনি সব জানতে পারবেন
দার্জিলিং ঘুরে আসতে চান তারা দার্জিলিং এর ভ্রমনগল্পটি পড়তে পারেন
আমার লেখা সবগুলো ভ্রমণ কাহিনী পাবেন এখানে
30 comments:
হুম। যাব কোন একদিন।
Vhai!
Thanks a lot...
ভিসা জটিলতা না থাকলে যেতাম :(
এক বার গেল দ্বিতীয় বার যাইতে ইচ্ছা হবেনা.কারন এতো দূরে যে ক্লান্ত হয়ে পড়বে
ওয়াও! সত্যিই সর্গ! চান্স পেলেই ঘুরে আসব ^_^
দারুন লিখেছেন। আমি নিশ্চিত অনেকেই উপকার পাবে, এখান থেকে
যাবার ইচ্ছা প্রবল, কিন্তু এত লম্বা ছুটি পাওয়া মুশকিল।
It must be very helpful
দারুন লিখেছেন। আমি নিশ্চিত অনেকেই উপকার পাবে, এখান থেকে
Nicely written. Many thanks to you. It will help us a lot.
ধন্যবাদ
I want go on ek din.... But I don't know when come this ek din
nice job boss
HOW MANY DAYS I NEED FROM KOLKATA TO sRINAGAR BY TRAIN? PLEASE HELP BECOZ I AM PLANING TO GO NEXT 30 JUNE 2016.
কলকাতা থেকে শ্রীনগর সরাসরি ট্রেন নেই ,কলকাতা থেকে ট্রেনে যাবেন জম্মুতে যেতে ৩৬ ঘন্টা লাগবে কলকাতা থেকে ।। তারপর জন্মু থেকে বাস বা টেক্সিতে শ্রীনগর যাবেন চার পাচ ঘন্টা লাগবে ।।
ধন্যবাদ ভাইয়া,যদিও লেখা আছে তবু আরেকটু শিয়র হয়ে নেই। অক্টোবর মাঝে গেলে কি snow টা পাওয়া যাবে?
জ্বি অবশ্যই স্নো পাবেন ।। এবং অক্টোবর বেস্ট টাইম ।। তবে এটাও মনে রাখবেন অক্টোবরে দুর্গাপুজো উপলক্ষে ছুটি থাকে এজন্য টুরিস্টের সংখ্যা বেড়ে যায় ।।
ধন্যবাদ ভাইয়া,যদিও লেখা আছে তবু আরেকটু শিয়র হয়ে নেই। অক্টোবর মাঝে গেলে কি snow টা পাওয়া যাবে?
many many thanks brother for ur kind information.
nice thanks brother
bhai, ami ekjon shathi khujsi..gele amake janaben.
ট্রেনে গেলে ভিসার ব্যাপার টা কি করে মেটাবো
ট্রেনে গেলে ভিসার সময় বাই ট্রেন সিলেক্ট করে দিলেই হবে
Brother, Please Provide Your Cell Number
ভাই, আমি একা যেতে চাই ।সেক্ষেত্রে বিভিন্ন স্পষ্ট গুলো যা আপনি বর্ণনা করেছেন সেগুলো সাইট সিয়িং- এ গেলে কিভাবে যাতায়াত খরচ কমাতে
পারি জানালে উপকৃত হব । একা যাওয়ার একটা গাইড লাইন আশা করি ।
আপনার সাজানো গোছানো লেখা ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যায় না। যাওয়াটা তো ভাগ্যের ব্যাপার। আপনি অনেক ভালো লেখেন। ভালো থাকুন।
বোঝা গেলো আপনি একজন ভ্রমন পিপাসু লোক ! আমাদের জন্য টিপসগুলো দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ !
আমি রমজানের ঈদের ছুটিতে যেতে চাই, ঈদে কোন প্যাকেজ আছে কিনা জানতে চাই।
thanks টিপস গুলো দেওয়ার জন্য.?
Since nine calories can be found in 1 gram of fat, you'll have to consume
44 to 66 grams each day for your average person. MAPS
not just treats children in distress with delicate care but refers
to the pain sensation and anxiety of the parent handling a
child under chronic condition. Her chiropractor
performed low amplitude, high velocity manipulation over the
3 spinal locations and almost 1.
Post a Comment