মিরপুরে দীর্ঘদিন থাকার সুবাদে অনেকেই আমার কাছে মিরপুরের খাবার নিয়ে জানতে
চায়। তাই ভাবলাম রপুরে আমার খাওয়া
রেষ্টুরেন্টগুলোর উপরে একটা কুইক রিভিউ লিখে ফেলি যাতে সহজে বাকীরাও খুজে পায় ।
সনি ফুডকোর্ট ও মিরপুর ১২ : প্রথমে ফুডকোর্টগুলোর কথা বলি যেখানে একসাথে অনেকগুলো অপশন থাকে। মিরপুরের সেরাফুডকোর্ট হলো সনি সিনেমা হলের ফুডকোর্ট মিরপুর ১ নাম্বার সনি হলের উপরে এটা অবস্থিত এখানে দুইটা ফুডকোর্ট আছে দুইটা ফ্লোরে একটা রুপটপ আরেকটা ইনডোর। দুইটাই বেশ ভালো মানের বিশেষ করে রুফটপটি। এর বাইরে মিরপুর ১২ তে ফুড কোর্ট পাবেন সিগনেচার ফুডকোর্ট । ফুডকোর্টগুরোর সুবিধা হলো অনেক অপশন পাওয়া যায় একই ছাদের নীচে।
বুফে রেষ্টুরেন্ট : মিরপুরে বুফে খেতে পারবেন মিরপুর ১২ নাম্বার ক্যাফে রিও ,মিরপুর ১১ নাম্বার বাফেট স্টোরিজ ও প্রিমিয়াম বাফেটে। দাম ৭০০-৯০০ এর মধ্যে ।
চান্দুর নেহারী : মিরপুরের বহু পুরাতন নেহারী খাবার রেষ্টুরেন্ট । বিহারীদের দ্বারা পরিচালিত এই নেহারী রেষ্টুরেন্ট বহু বছর ধরে জনপ্রিয়। এখানে নেহারী ও পুড়ি খেতে পারবেন। সাধারনত বিকাল থেকে শুরু করে রাত ৮/৯টা পর্যন্ত নেহারী পাবেন। ছোট্র দোকান কিন্তু সবসময়ই ভিড় লেগে থাকে। তবে অনেক কাস্টমারের একটি অভিযোগ হলো নেহারীর স্বাদ আগের মতো নেই তারপরও জনপ্রিয় বলে মানুষের ভিড় সবসময় লেগে লেগে থাকে। মিরপুর কালসী রোডের উত্তর দিকে এটা যে কাউকে বললে দেখিয়ে দিবে বা গুগলে সার্চ দিলে লোকেশন চলে আসবে। পরিবেশ একদম নরমাল হোটেলের মতো।
আবেশ হোটেল : ভাত/বিকালের নাস্তা আইটেমের জন্য জনপ্রিয় হোটেল ,এখানে মাটির হাড়িতে গরু/খাসী রান্না করে যেটা খুব জনপ্রিয় মিরপুরে। এর বাইরে ভাত বিরানী সাথে গরুর মাংশ খাসির মাংশ মাছ বট পরোটা এগুলোও পাবেন। সবসময় ভিড় লেগে থাকে এবং মিরপুরে এটি জনপ্রিয় হোটেল।লোকেশন মিরপুর ২ মসজিদ মার্কেটের সাথে অথবা লাভ রোডের সাথে এখানে এসে যেকাউকে জিজ্ঞাসা করলে দেখিয়ে দিবে বা গুগল সার্চ করে নিতে পারেন।
রাব্বানি হোটেল : ভাত খাওয়ার জন্য জনপ্রিয় হোটেল অনেকটা আবেশের মতোই যারা ভাত ডাল মাছ মাংশ খেতে চান তাদের জন্য ভালো হোটেল মোটামুটি সব আইটেমই ভালো। মিরপুর ১০ বেনারসি পল্লী ও মিরপুর ১১ দুইটা শাখাতেই খেতেপারেন। এর বাইরে বিকালের নাস্তাও পাবেন এখানে।
দস্তরখানা : মিরপুর ৬ নাম্বার বাজারের সাথে বহুদিন ধরে জনপ্রিয় একটি হোটেল এখানে সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার ও বিকালের নাস্তা পাবেন এদের সবগুলো আইটেমই মোটামুটি মজার এবং পার্সোনালী আমি এটাতে অনেক খাই।
পিজ্জাবার্গ ও ডিগার : এই দুইটা ভিন্ন রেস্টুরেন্ট তবে উভয়ের পিজ্জা আমার প্রিয় তাই একসাথে লিখে ফেললাম। এদের পিজ্জা ট্রাই করতেপারেন মিরপুরে এদের পিজ্জার চেয়ে ভালো পিজ্জা আমি পাইনি এখনো । উভয় রেস্টুরেন্টটি মিরপুর ২ এ অবস্থিত । পিজ্জাবার্গ মিরপুর ২ মসজিদ মার্কেট এর সাথে আর ডিগার্স মিরপুর ২ এর ঈদগাহ এর উল্টাপাশে। দুইটা কাছাকাছিই ।
সয়া : কোরিয়ান ও জাপানিজ খাবারের জন্য এরা মিরপুরে বেস্ট ,ট্রাই করতে পারেন তবে দামটা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে । তবে খাবার খেয়ে মজা পাবেন। মিরপুর ৬ এ এদের শাখা।
শওকত এর কাবাব: এটা মিরপুর ১০ বেনারসি পল্লীর ঠিক সাথে ,যেকাউকে বললে দেখিয়ে দিবে। অনেক আগে্ একবার পাকিস্তানী ক্রিকেটাররা এখানে খেয়েছিলো তখন থেকে এটা জনপ্রিয় এরা নানা ধরনের কাবাব বিক্রি করে তবে বিফ কাবাবটা জনপ্রিয় । মোটামুটি সবসময়ই ভিড় পাবেন।
কিসমত ভাইয়ের আহ কি মজার হালিম : মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এর প্রধান গেটে অবস্থিত ,এটার আরেকটা নাম হলো হুজুরের হালিম দোকান। নেহারী ও হালিমের জন্য এরা ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ।
কাল্লুর চাপ : মিরপুর ১১ নাম্বার কালসি রোডের দিকে পাবেন কাল্লুর চাপ ঘর এটিও মিরপুরে জনপ্রিয় তবে পরিবেশ একদমই নরমাল বিকালের দিকে নানা ধরনের বিফ ও চিকেন চাপ পাবেন।
ফায়ার এন্ড ফর্কস : এটা হলো মিরপুরের বর্তমানে একমাত্র বিফ স্টেইকের রেষ্টুরেন্ট । মিরপুর ১ সনি হল বিল্ডিং এ পাবেন । মোটামুটি ভালোই টেস্ট এদের স্টেইকের ।
এর বাইরে যদি জনপ্রিয় রেষ্টুরেন্টগুলোর শাখার কথা বলি :
- মিরপুর ১০ এ কাচ্চি ভাই ও সুলতান ডাইন পাবেন
- মিরপুর ১ এ পিজ্জা হাট পাবেন
- কেএফসিপাবেন ১১ নাম্বার ও ১২ নাম্বারে
- হারফির শাখা মিরপুর ১১ তে পাবেন
- ক্রিমসন কাপ আছে মিরপুর ১ ও ১২ তে
0 comments:
Post a Comment