শ্রীকান্ত জিচকর-ভারতবর্ষের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি যাকে বলা হয়

 


আমরা জীবনে নানা ভাবে প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা লাভ করে থাকি তারপর হয়তো কেউ ব্যবসা কেউ চাকুরীর জন্য চেষ্টা করি কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন একটা মানুষ কতটা শিক্ষিত হতে পারে বা কতটা কোয়ালিফাইড হতে পারে? আজকে ভারত বর্ষের সবচেয়ে শিক্ষিত বা কোয়ালিফাইড ব্যক্তির কথা বলবো যার পড়ালেখার কথা শুনলে চোখ কপালে উঠবে ।

ভারতবর্ষের সবচেয়ে কোয়ালিফাইড ব্যক্তি বলা যায় ভারতের শ্রীকান্ত জিচকর কে ।

মারাঠি এই লোকের নাম শ্রীকান্ত জিচকর। ১৯৫৪ সালে ১৪ ই সেপ্টেম্বর নাগপুর জেলার কাটল নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাকে ভারতবর্ষের সবচেয়ে কোয়ালিফাইড ব্যাক্তি কি জন্য বলা হয় তা জানতে আগে দেখুন সে শিক্ষাজীবনে কি করেছে-

  • সে প্রথমে এমবিবিএস ও এমডি ডিগ্রী শেষ করে ডাক্তার হয়েছে
  • তারপর L.L.B করলেন সাথে করলেন ইন্টারন্যাশানাল ল এর ওপর স্নাতকোত্তর
  • বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর ওপর ডিপ্লোমা করলেন তারপর M.B.A ,
  • সাংবাদিকতা নিয়ে করলেন স্নাতক/অনার্স

ভাবছেন বাহ এত ডিগ্রী !! থামুন সবেতো তার পড়ার ইতিহাস শুরু ……তারপর সে মোট দশটা বিষয়ে স্নাতকত্তোর ডিগ্রী শেষ করেন বিষয়গুলো হলো

১.ইকোনমিক্স
২.সোশিওলজি
৩.পাবলিক আ্যডমিনিস্ট্রেশন
৪.সংস্কৃত
৫.ইতিহাস
৬.ইংরেজী
৭.দর্শন বিদ্যা
৮.পলিটিক্যাল সায়েন্স
৯.ইন্ডিয়ান হিস্ট্রী, কালচার,এন্ড আর্কেওলজি
১০.সাইকোলজি
সবগুলো বিষয়ে তিনি প্রথম শ্রেনী পেয়ে পাস করেন।

শ্রীকান্ত জিচকর

পুরো শিক্ষাজীবনে সে ২৮টি স্বর্ণপদক পেয়েছেন এবং ২০টি ডিগ্রী লাভ করেছেন ৪২টি ভার্সিটি থেকে।

নিশ্চয় এতক্ষণে অবাক হতে হতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন কিন্তু শ্রীকান্ত জিচকর কিন্তু ক্লান্ত হয়নি ।

১৯৭৮ সালে সে ভারতের বিসিএস মানে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে পরীক্ষা দিয়ে পুলিশে জয়েন করে আবারও চাকুরী ছেড়ে দিলেন ১৯৮০ সালে আবার সিভিল সাভিসে পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে জয়েন করে কিছুদিন পর চাকুরী ছেড়ে দেন ।

চাকুরী ছাড়ার কিছুদিন পরই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করে ৩৬ বয়সে ভারতের সবচেয়ে কম বয়সে এমএলএ নির্বাচিত হোন এবং মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি একাই ১৪টি মন্ত্রণালয় সামাল দিতেন । এরপর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে তিনি ১৯৯২ সাল নাগাদ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন।

অসম্ভব মেধাবী এই শ্রীকান্তক জিচকরকে ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তির খেতাব দেওয়া হয় এবং১৯৮৩ তে বিশ্বের অসামান্য দশজন তরুণ হিসেবেও নির্বাচিত হন।

তার ব্যক্তিগত লাইব্রেরীতে বই ছিলো প্রায় ৫২০০০ । এছাড়া তিনি শুধু বই নিয়ে পড়ে ছিলেন না তিনি একাধারে ফটোগ্রাফার অভিনেতা চিত্রশিল্পী আরও নানা গুণে গুণান্বিত ছিলেন যা বলে শেষ করা যাবেনা।

২রা জুন , ২০০৪ এ নাগপুরে পথ দুর্ঘটনায় ওনার মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৪৯ ।

0 comments:

Post a Comment

লেখাটি শেয়ার করুন