প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের আঁধার আমাদের মাতৃভূমি রূপসী বাংলা । রূপের অপার সৌন্দর্যের সাঁজে সেজে আছে বাংলা মা । আমরা সৌন্দর্যের খোঁজে ছুটে বেড়াই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে । কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি আমাদের দেশের সৌন্দর্য তাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয় । আমরা বিভিন্ন দেশের গ্রীন ভ্যালী দেখতে যাই কিন্তু ঢাকা থেকে মাত্র ৭/৮ ঘণ্টা গাড়ি পথে পার্বত্য অঞ্চলের রাঙামাটি জেলার সাজেক ভ্যালী টা আমরা কজনই বা দেখেছি । হাতে দুই দিন সময় নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন এ সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য, যা আপনার সুন্দর একটি স্মৃতি হয়ে কল্পনায় গেঁথে থাকবে ।
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত । সাজেক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন । যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল । সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও যাতায়াতে সুবিধার কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি জেলা দিয়েই সাজেকে আসা যাওয়া করে ।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেক এর দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার । সাজেকে প্রবেশেই পড়বে সাজেকের প্রথম গ্রাম রুইলুই পাড়া যার উচ্চতা ১৮০০ ফুট । এর প্রবীণ জনগোষ্ঠী লুসাই । এছাড়া পাংকুয়া ও ত্রিপুরারাও বাস করে । ১৮৮৫ সালে এই পাড়া প্রতিষ্ঠিত হয় । এর হেড ম্যান লাল থাংগা লুসাই । রুইলুই পাড়াকে ঘিরেই সাজেক গড়ে উঠেছে ।। রুইলুই পাড়ার পরই আছে কংলাক পাড়া ।।
সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচুতে অবস্হিত বিজিবি ক্যাম্প । এখানে হেলিপ্যাড আছে । সাজেকের শেষ গ্রাম কংলাক পাড়া । এটিও লুসাই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাড়া । এর হেড ম্যান চৌমিংথাই লুসাই । কংলক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায় । কংলাক পাড়া সাজেকের সবচেয়ে উচু পাড়া ।
খাগড়াছড়ি থেকে আপনি তিন মাধ্যমে সাজেক পৌছাতে পারবেন । চান্দের গাড়ী,সিএনজি এবং মটরসাইকেলে ।
সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো খাগড়াছড়ি শহর বা দীঘিনালা উপজেলা শহর থেকে জীপগাড়ি (লোকাল নাম চাঁন্দের গাড়ি) রিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসা । ভাড়া নিবে পুরাতন চান্দের গাড়ী ৬০০০-৭০০০ টাকা আর নতুন মাহিন্দ্রা পিকআপগুলো ৯০০০-৯৫০০ টাকা , এই টাকার মধ্যে আপনি যাবেন তারপর রাত সাজেকে কাটাবেন গাড়ী আবার আপনাকে নিয়ে আসবে খাগড়াছড়িতে বুঝা গেছে ব্যাপারটা ? । এক গাড়িতে গাড়ীর সাইজ অনুযায়ী দশ থেকে ১৫ জন বসতে পারবেন । এই টাকার মধ্যে গাড়ী আপনাকে হাজাছড়া ,রিসং ঝর্ণা ,আলুটিলা ,জেলা পরিষদ পার্ক ও ঝুলন্ত ব্রিজ ও তারেং ঘুড়িয়ে দেখাবে ।। যদি কেউ এগুলো না ঘুরেন তাহলে ১০০০-১৫০০ টাকা কম লাগবে ।।
গাড়ী আগে থেকে ঠিক করার দরকার নেই খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরের জিপ সমিতি অফিসে গেলেই ওরা সব ঠিক করে দিবে ।।
লোক কম হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি নিয়েও যেতে পারবেন । ভাড়া ৩০০০ টাকার মতো নিবে ।
এছাড়াও মটরসাইকেলে করে সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন এক্ষেত্রে এক মটরসাইকেলে ড্রাইভার সহ তিনজন বসতে পারবেন ভাড়া আসা যাওয়া রিজার্ভ ১০০০-১২০০ টাকা (দামদর করে নিবেন কম বেশি হতে পারে) । । বাসে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা জন প্রতি ৪৫ টাকা নিবে । দীঘিনালা থেকে ১০০০-১২০০ টাকায় মোটর সাইকেল রিজার্ভ নিয়েও সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন ।
এসব কটেজ ছাড়াও ভিআইপি কিছু রিসোর্ট রয়েছে যেমন সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে আছে সাজেক রিসোর্ট যার ভাড়া ১০-১৫ হাজারের মধ্যে । বুকিং নাম্বার : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪ ,আছে রুন্ময় রিসোর্ট যার ভাড়া রুম প্রতি ৪৫০০-৫০০০ টাকা ,যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২
যাবার আগে ফোন দিয়ে বুকিং করে যেতে পারেন কারণ ছুটির দিনগুলোতে ভালো ভালো সবগুলো কটেজ ও রিসোর্ট বুকড করা থাকে :) তবে এগুলো ছাড়াও অনেক কটেজ খালী পাবেন সমস্যা নেই :)
যাওয়া হলো থাকার ব্যবস্হাও হলো খাওয়ার ব্যবস্হাওতো দরকার তাইনা ? ওখানে সাজেকে খাবারের অনেক হোটেল আছে প্রতিবেলা প্রতিজন ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে মেনু হিসেবে পাবেন ভাত আলুভর্তা ,সবজি, মুরগীর মাংশ ইত্যাদি রাতে বার বি কিউ খেতে পারেন অধিকাংশ রেষ্টুরেন্ট রাতে বার বি কিউর আয়োজন করে থাকে ।।
আর হ্যাঁ ফল পাবেন খুব সস্তায় সেখানে পেঁপে,আনারস,কমলা,কলা এগুলো অনেক সস্তায় পাবেন । পেট আর মন পুরে খেতে ভুলবেন না যেন :)
যারা এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তারা সাজেক এর অপরুপ সৌন্দর্য্য দেখা ছাড়াও দেখে আসতে পারেন কমলক ঝর্না, সাজেকে এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর এই ঝর্নাটি, বুনো রাস্তা আর ৮০-৮৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে আর উঠতে হবে অনেক খানি তারপর ঝিরিপথ পাবেন, ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে আবার উঠতে হবে কিছুটা, এইভাবে আরো কিছুক্ষন ট্রেক করার পর পৌছে যাবেন ঝর্নার কাছে। ঝিরিপথ টিও অসম্ভব সুন্দর, এডভেঞ্চারটি ভালো লাগবে আশা করি। রাস্তাটি বর্ষার সময় খুব পিচ্ছিল থাকে তাই খেয়াল রাখবেন চলার সময়। গাইড রুইলুই পাড়া থেকে ঠিক করে নিবেন, ঝর্নার কথা বললেই হবে, ৩০০-৩৫০ টাকা নিবে। তবে এই ঝর্ণায় বর্ষা ছাড়া পানি পাবেন না তাই বর্ষা ছাড়া গিয়ে খুব একটা পোষাবেনা ।।
আশা করি খাগড়াছড়ি আর সাজেকে ঘুরোঘুরি নিয়ে আর কোন কনফিউশন বা ভয় নেই :) তারপরও যদি কোন তথ্যেের প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে নক করতে পারেন ফেইসবুকে বা নীচে কমেন্টস করতে পারেন :) আমি আমার সাধ্যমতো সাহায্য করবো ।
এছাড়া আমার ট্রাভেলিং গ্রুপ স্বপ্নযাত্রা এর ফেইসবুক গ্রুপেও যোগ দিতে পারেন ট্রাভেল রিলেটেড যেকোন কিছু জানতে বা আমার সাথে গ্রুপে ভ্রমণ করতে ।
নোট : উপরের তথ্যগুলোর অধিকাংশই শ্রদ্ধেয় বড় ভাই নিজাম ভাইয়ের কালেক্ট করা
![]() |
সাজেক এমনই অসাধারণ সৌন্দর্য্যে ভরে উঠে চারপাশ |
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত । সাজেক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন । যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল । সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও যাতায়াতে সুবিধার কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি জেলা দিয়েই সাজেকে আসা যাওয়া করে ।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেক এর দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার । সাজেকে প্রবেশেই পড়বে সাজেকের প্রথম গ্রাম রুইলুই পাড়া যার উচ্চতা ১৮০০ ফুট । এর প্রবীণ জনগোষ্ঠী লুসাই । এছাড়া পাংকুয়া ও ত্রিপুরারাও বাস করে । ১৮৮৫ সালে এই পাড়া প্রতিষ্ঠিত হয় । এর হেড ম্যান লাল থাংগা লুসাই । রুইলুই পাড়াকে ঘিরেই সাজেক গড়ে উঠেছে ।। রুইলুই পাড়ার পরই আছে কংলাক পাড়া ।।
সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচুতে অবস্হিত বিজিবি ক্যাম্প । এখানে হেলিপ্যাড আছে । সাজেকের শেষ গ্রাম কংলাক পাড়া । এটিও লুসাই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাড়া । এর হেড ম্যান চৌমিংথাই লুসাই । কংলক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায় । কংলাক পাড়া সাজেকের সবচেয়ে উচু পাড়া ।
কিভাবে যাবো সাজেক ?
ঢাকা থেকে সব জনপ্রিয় পরিবহনেরই খাগড়াছড়ি পর্যন্ত বাস সার্ভিস আছে যেমন নন এসি আছে শ্যামলী হানিফ এস আলম শান্তি পরিবহন ইউনিক ইত্যাদি আর এসি পরিবহনের মধ্যে আছে সেন্টমার্টিন রিল্যাক্স শান্তি পরিবহন ইত্যাদি ।।
মুলত সবগুলো বাসই প্রতি রাতের দশটা এগারোটার মধ্যেই ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে যায় এবং ভোর ৫/৬ টা নাগাদ খাগড়াছড়ি নামিয়ে দেয় ।। ভাড়া নন এসি ৫২০ টাকা আর এসি ১০০০ টাকা ।
সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো খাগড়াছড়ি শহর বা দীঘিনালা উপজেলা শহর থেকে জীপগাড়ি (লোকাল নাম চাঁন্দের গাড়ি) রিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসা । ভাড়া নিবে পুরাতন চান্দের গাড়ী ৬০০০-৭০০০ টাকা আর নতুন মাহিন্দ্রা পিকআপগুলো ৯০০০-৯৫০০ টাকা , এই টাকার মধ্যে আপনি যাবেন তারপর রাত সাজেকে কাটাবেন গাড়ী আবার আপনাকে নিয়ে আসবে খাগড়াছড়িতে বুঝা গেছে ব্যাপারটা ? । এক গাড়িতে গাড়ীর সাইজ অনুযায়ী দশ থেকে ১৫ জন বসতে পারবেন । এই টাকার মধ্যে গাড়ী আপনাকে হাজাছড়া ,রিসং ঝর্ণা ,আলুটিলা ,জেলা পরিষদ পার্ক ও ঝুলন্ত ব্রিজ ও তারেং ঘুড়িয়ে দেখাবে ।। যদি কেউ এগুলো না ঘুরেন তাহলে ১০০০-১৫০০ টাকা কম লাগবে ।।
গাড়ী আগে থেকে ঠিক করার দরকার নেই খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরের জিপ সমিতি অফিসে গেলেই ওরা সব ঠিক করে দিবে ।।
![]() |
সাজেক যাবার পথে ...এ পথ যেন না শেষ হয় .... |
লোক কম হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি নিয়েও যেতে পারবেন । ভাড়া ৩০০০ টাকার মতো নিবে ।
এছাড়াও মটরসাইকেলে করে সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন এক্ষেত্রে এক মটরসাইকেলে ড্রাইভার সহ তিনজন বসতে পারবেন ভাড়া আসা যাওয়া রিজার্ভ ১০০০-১২০০ টাকা (দামদর করে নিবেন কম বেশি হতে পারে) । । বাসে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা জন প্রতি ৪৫ টাকা নিবে । দীঘিনালা থেকে ১০০০-১২০০ টাকায় মোটর সাইকেল রিজার্ভ নিয়েও সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন ।
ভাই থাকার ব্যাপারটা ?
অস্হির হবেন না বলে দিচ্ছি :) সাজেকে আপনি রাতে থাকতে পারবেন এবং আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি থাকুন একটা রাত অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হবে আপনার ।
সাজেকে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের রিসোর্ট আছে যাতে আপনি নিশ্চিন্তে নিরাপদে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে থাকতে পারবেন ।
ভালো কিছু কটেজের নাম ও নাম্বার দিয়ে দিলাম :)
মেঘ মাচাং বুকিং নাম্বার ০১৮২২ ১৬৮৮৭৭ ।
মেঘ পুন্জি বুকিং নাম্বার 01815-761065 (Sajek), 01911-722007 (Dhaka)
ভালো কিছু কটেজের নাম ও নাম্বার দিয়ে দিলাম :)
মেঘ মাচাং বুকিং নাম্বার ০১৮২২ ১৬৮৮৭৭ ।
মেঘ পুন্জি বুকিং নাম্বার 01815-761065 (Sajek), 01911-722007 (Dhaka)
জুমঘর : বুকিং নাম্বার 01884208060
রুইলুই রিসোর্ট 01632030000
আদ্রিকা ইকো কটেজ +8801877722859
ঝি ঝি পোকার বাড়ি বুকিং নাম্বার 01869-157666
অবকাশ ইকো কটেজ বুকিং নাম্বার 01844-172492
লুসাই কটেজ বুকিং নাম্বার 01844-172492
উপরের সবগুলো কটেজই সাজেকের অন্যতম জনপ্রিয় কটেজ এগুলোর ভাড়া ২৫০০-৪০০০ এর মধ্যে ।
এছাড়াও সাজেক বিষয়ক যেকোন হেল্পের জন্য আমাদের ফেইসবুক গ্রুপেও পোস্ট দিতে পারেন
এসব কটেজ ছাড়াও ভিআইপি কিছু রিসোর্ট রয়েছে যেমন সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে আছে সাজেক রিসোর্ট যার ভাড়া ১০-১৫ হাজারের মধ্যে । বুকিং নাম্বার : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪ ,আছে রুন্ময় রিসোর্ট যার ভাড়া রুম প্রতি ৪৫০০-৫০০০ টাকা ,যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২
![]() |
রুন্ময় রিসোর্ট |
যাবার আগে ফোন দিয়ে বুকিং করে যেতে পারেন কারণ ছুটির দিনগুলোতে ভালো ভালো সবগুলো কটেজ ও রিসোর্ট বুকড করা থাকে :) তবে এগুলো ছাড়াও অনেক কটেজ খালী পাবেন সমস্যা নেই :)
![]() |
একদম উপর থেকে সাজেক ভ্যালী ছবি কৃতজ্ঞতা আফজাল নাজিম |
যাওয়া হলো থাকার ব্যবস্হাও হলো খাওয়ার ব্যবস্হাওতো দরকার তাইনা ? ওখানে সাজেকে খাবারের অনেক হোটেল আছে প্রতিবেলা প্রতিজন ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে মেনু হিসেবে পাবেন ভাত আলুভর্তা ,সবজি, মুরগীর মাংশ ইত্যাদি রাতে বার বি কিউ খেতে পারেন অধিকাংশ রেষ্টুরেন্ট রাতে বার বি কিউর আয়োজন করে থাকে ।।
আর হ্যাঁ ফল পাবেন খুব সস্তায় সেখানে পেঁপে,আনারস,কমলা,কলা এগুলো অনেক সস্তায় পাবেন । পেট আর মন পুরে খেতে ভুলবেন না যেন :)
একটি সাজেক প্ল্যান :
রাতের বাসে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা ।
- পরদিন ভোরে খাগড়াছড়ি পৌছে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে নিতে হবে তারপর চান্দের গাড়ী /সিএনজি ঠিক করে হাজাছড়া ঝর্ণা দেখে দশটার মধ্যে আর্মির গাড়ী স্টার্ট হয়ে যায় আর্মির গাড়ীর সাথে সাজেক পৌছানো আনুমানিক বারোটা থেকে একটার মধ্যেই সাজেক পৌছানো যায় । দুপুরে খেয়ে বিকালে কংলাক পাড়া ঘুরে দেখা এবং হেলিপ্যাড ঘুরে দেখা ।
-পরদিন ভোরে উঠে হেলিপ্যাড থেকে সূর্যোদয় দেখা তারপর স্টোন গার্ডেন সহ সাজেকের এদিক সেদিক ঘুরে দেখা এবং আবারও দশটার দিকে আর্মির গাড়ীর সাথে খাগড়াছড়ি চলে এসে দুপুর একটায় দুপুরের খাবার খেয়ে আলুটিলা গুহা ,তারেং ,জেলা পরিষদ পার্ক ও রিসং ঝর্ণা দেখা এবং রাতের বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া ।।
এটাই মুলত স্ট্যান্ডার্ট প্লান তবে অনেকে রিল্যাক্স করার জন্য আরও একরাত বেশি সাজেকে রাত্তিযাপন করে ।।
মনে রাখবেন নিরাপত্তা জনিত কারণে আর্মির গাড়ীর সাথে সব গাড়ীকে যেতে এবং আসতে হয় আর্মির নির্ধারিত গাড়ী ছাড়ার সময় সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটা এবং বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে তিনটা ।। এই সময়ের বাইরে সাজেকে আসা এবং যাওয়া যায়না ।। এই সময়েই আর্মির গাড়ী সবাইকে নিয়ে যায় এবং নিয়ে আসে :) এমনি সাজেকে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নেই ।।
আশা করি খাগড়াছড়ি আর সাজেকে ঘুরোঘুরি নিয়ে আর কোন কনফিউশন বা ভয় নেই :) তারপরও যদি কোন তথ্যেের প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে নক করতে পারেন ফেইসবুকে বা নীচে কমেন্টস করতে পারেন :) আমি আমার সাধ্যমতো সাহায্য করবো ।
এছাড়া আমার ট্রাভেলিং গ্রুপ স্বপ্নযাত্রা এর ফেইসবুক গ্রুপেও যোগ দিতে পারেন ট্রাভেল রিলেটেড যেকোন কিছু জানতে বা আমার সাথে গ্রুপে ভ্রমণ করতে ।
নোট : উপরের তথ্যগুলোর অধিকাংশই শ্রদ্ধেয় বড় ভাই নিজাম ভাইয়ের কালেক্ট করা
17 comments:
বস কপি করতে পারি ?
কপির ব্যাপারটা ক্লিয়ার না ভাইয়া কোথায় কপি করতে চান কি করতে চান ? আপনি আমাকে ফেইসবুকে নক দিন ।।
assa vaia kon season a gele besi valo? winter season a gele ki kono problem hobe? r valovabe sob dekhe ghure aste hole minimum kotodin lagbe?
ডিয়ার টপর,
এক সিজনে এক রুপ ,প্রত্যেকটা রুপই সুন্দর । সাজেকে আপনি যেকোন সময়ই যেতে পারেন :) ঝর্নাগুলো দেখার জণ্য বর্ষার ঠিক শেষ সময়ে গেলে ভালো তখন ঝরনাগুলো পানিতে টইটুম্বুর হয়ে থাকে ।
শীতে গেলে কোন সমস্যা নেই ।।
ভালোভাবে ঘুরে আসতে ধরুন আপনি রাতের বাসে রওয়ানা হলেন তারপর দিন সকালে পৌছে রিসং ঝরনা আলুটিলা দেখে ফেললেন ।। এরপর দিন যদি আপনি সিজুক ঝরনাগুলোতে যান তাহলে ঝরনাগুলো দেখে সরাসরি সাজেক চলে যেতে পারেন সাজেকে রাতটা কাটিয়ে তারপর দিন খাগড়াছড়ি শহরে চলে আসতে পারেন তারপর ঢাকা ।।
তো দুই দিনেই সাধারণত হয়ে যায় যদি আপনি ঠিক প্লান করে যান :)
shajek e gie jodi thaki tahole shudhu jawar shomoi kemon vara hobe?
শুধু যাওয়ার সময় বলে আসলে কিছু নেই কারণ গাড়ীগুলো গিয়ে আসার সময় খালীই আসতে হয় এজন্য শুধু গিয়ে থাকলেও আপনাকে চার পাচ হাজার টাকা দিতে হবে ।। আবার এক দেড় হাজার টাকা বাড়িয়ে দিলে গাড়ীগুলো রাতে সাজেক থেকে যায় তারপর দিন আপনাকে নিয়ে আবার ফেরত আসে শহরে ।।
আশা করি বুঝতে পারছেন ।।
ভাই যদি রিসোর্ট না পাই তো তাবু বা অন্য কোন উপায় আছে রাতে থাকার?
উপরের দেখুন একটা দুইটা রিসোর্টে তাবুতে থাকার ব্যবস্হা আছে ।। এছাড়া আপনি নিজস্ব তাবু নিয়ে গেলেও সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে থাকতে পারবেন সমস্যা হবেনা ।। তারপরও যদি একান্ত বিপদ হয়ে যায় তাহলে উপজাতিদের সাথে রাত কাটাতে পারবেন ।।
vaia khagrachori theke sajek jete kotokhon lage??
Bro aktu bolven ki sajek resort a 10hajar takar j room gulo ache ogulote koto jon thaka jabe. R jodi team member 10-12 jon hoi meye soho tahole kothay thaka ta better hobe.....??
Nice article. Can I get your contact details? You can send me email.
sirat.shahriar@jovago.com
আমার ফেইসবুক একাউন্ট পোস্টের একদম নীচে দেওয়া আছে ।। ফেইসবুকে আমাকে নক দিতে পারেন
ভাই, রাঙামাটি ও সাজেক যেতে চাই, সময় ৩ দিন, এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ চাচ্ছি।
ভাই, সাজেকে কি বাচ্চা শিশুদের নিয়ে যাওয়া যায় ?
সাজেক ঘুরে রাত কটিয়ে পরের দিন বাকি সব spot ঘুরে কি সন্ধ্যা or night এ বান্দরবন থানচি যাওয়ার কোন বাস আছে।।। আমরা নাফাখুম ও ঘুরতে চাই ।।। possible...?? Please akto janan
জ্বি না কোনভাবেই পসিবল না ,খাগড়াছড়ি টু বান্দরবন কোন বাস নেই । আপনি রিজার্ভ বাস নিতে পারবেন ম্যানেজ করে তবে সেটা সর্বোচ্চ বান্দরবন পর্যন্ত থানচি পর্যন্ত ওখানকার লোকাল গাড়ী /বাস নিতে হবে ।
Bhaiya. . Apnar post tii onek valo lagce.
Bhaiya amar akta information ar Dorkar.... Seti holo sajek Amara 2 Jon jabo (couple) and chander gari te ato taka diye kivabe jabo kono team thakbe ki.
And sajek kom damer kono hotel nai janaben plz
Post a Comment