চায়নার সাথে রয়েছে বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক ,নিয়মিত বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা চায়না যায় যদিও পর্যটকের তুলনায় ব্যবসায়ীই বেশি বলা যায় । সম্প্রতি আমি চায়নার ভিসা করেছি সে অভিজ্ঞতার আলোকে ভাবলাম আপনাদের জন্য একটা ব্লগ লিখে ফেলি যেন আপনাদের একটা ভালো ধারণা হয়।
চায়না ভিসার ফি কেমন বা ভিসা পাবার চান্স কেমন এর একটা বড় বিষয় নির্ভর করে আপনি এর আগে কোন কোন দেশে গিয়েছেন এর উপরে। যেমন ধরুন আপনি থাইল্যান্ড মালয়শিয়া বা আমেরিকা এমন উন্নত দেশে ঘুরে এসেছেন তাহলে আপনার জন্য চায়না ভিসা পাওয়া সহজ ও খরচ কম । কোন দেশেই যাননি বা ভারত নেপাল এসব দেশ ঘুরেছেন তাদের জন্য কিছুটা কঠিন এবং খরচ বেশি তবে সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে সবাইকেই সহজে ভিসা দেয় । তাই এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই আমি প্রথমবারই ভিসা পেয়েছি আমি শুধু ভারত নেপাল আর ভুটান ঘুরেছিলাম।
চায়না ভিসা আপনি নিজে নিজে ও এজেন্সি দিয়ে করতে পারবেন তবে এজেন্সি দিয়ে কিছুটা বেশি খরচ হলেও এজেন্সি দিয়ে করা ভালো এসে ভিসার চান্স বেশি থাকে।
চায়না ভিসার জন্য কিকি কাগজ লাগে বলে দিচ্ছি :
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
মূল পাসপোর্ট
২ কপি ছবি (স্টুডিওতে বললেই হবে চায়না ভিসা সাইজ )
ভিজিটিং কার্ড (প্রতিষ্টানের ভিজিটিং কার্ড লাগবে ,এটা বানিয়ে নিতে পারেন কোন দোকান থেকে ২০০-৩০০ টাকা খরচ হবে )
ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট ছয় মাসের
ব্যাংক সলভেন্সি
টিন সার্টিফিকেট
ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট
জাতীয় পরিচয় পত্র
প্রতিষ্টানের ট্রেড লাইসেন্স
এগুলোই কাগজপত্র ,এজেন্সিই আপনাকে হেল্প করবে যদি ভিজিটিং কার্ড বা ট্রেড লাইসেন্স না থাকে তাই ভয় পাবার কোন কারণ নেই ।
এবার আসি ভিসা ফী কত সে হিসাব নিয়ে :
মুলত চায়নাতে ভিসা ফি কম কিন্তু এখানে এজেন্সি গুলো জড়িত বলে ১০-২০ হাজার টাকা খরচ যাবে আপনার ভিসা করতে সব মিলিয়ে । আর সত্যি বলতে এজেন্সি দিয়ে করানোই ভালো । এই ভিসা ফিটা কিভাবে নির্ধারণ হয় আমি বলছি , আপনার পাসপোর্টে তিনটা ভালো দেশের স্টিকার ভিসা আছে (স্টিকার ভিসা হলো যেসব দেশের ভিসা স্টিকার আকারে দেয় যেমন ভুটান ও নেপাল কিন্তু অন এরাইভাল ভিসা তারা কোন স্টিকার দেয়না তাই এগুলো কাউন্ট হয়ণা ) তিনটা দেশের স্টিকার থাকলে আপনার হয়তো ১০-১২ হাজার যাবে ২টা দেশের থাকলে হয়তো ১০-১৩/১৪ হাজার যাবে একটা দেশের থাকলে হয়তো ১৭-১৮ হাজার যাবে একেবারে কোন দেশ যাননি তাদের হয়তো ২০+ খরচ যাবে এভাবে নানা ধরনের হিসাব আছে যেটা এজেন্সি আপনার পাসপোর্ট দেখে খরচ বলে দেবে কত লাগবে।।
তারপরও নানা সময়ে নানা এজেন্সি ভেদে ফি আপ ডাউন করতে পারে আপনি কয়েকটা এজেন্সি যাচাই করে তারপর কাজ করাবেন কিছু এজেন্সি আবার নো ভিসা নো ফি গ্যারেন্টি দেয় এদের সাথে কাজ করলে ভালো ভিসা না হলে আপনাকে এক টাকাও দিতে হবেনা।
ভিসা কয়দিনের দেয় :
প্রথম অবস্থায় ভিসা মুলত ৩মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি দেয় তবে যাদের আগে অনেক দেশ ঘুরা আছে তারা চাইলে এক দুইবছরের জন্য আবেদন করতে পারে এক্ষেত্রে ভিসা ফির হেরফের হতে পারে।
চায়না ভিসা এজেন্সি দিয়ে কিভাবে প্রসেসিং হয় :
মুল প্রসেসিং এর কাজ মুলত সব এজেন্সিই করে আপনি শুধু কাগজপত্রগুলো দিয়ে আসবেন ফর্ম পুরণ থেকে শুরু করে বাকী সব কাজ তারা করে দিবে এবং এজেন্সি জানাবে কবে বারিধারাতে চায়না এম্বেসীতে যাবেন যেদিন ডেট পড়বে সেদিন শুধু গিয়ে আপনি ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে চলে আসবেন আর বাকী সবকিছু এজেন্সিই সামলে নিবে পাসপোর্টও ফেরত পাবেন এজেন্সির কাছ থেকে। সো হিসাব করলে কাজ মোটামুটি ইজিই বলা যায়। তবে এম্বেসী যদি মনে করে আপনার ইন্টারভিউ নিবে তাহলে ফিঙ্গার প্রিন্টের সাথে সাথে একটা ইন্টারভিউ ও নিবে । ইন্টারভিউতে কি বলবেন এসব এজেন্সি আপনাকে শিখিয়ে দিবে ডোন্ট ওরি।
এখন মোটামুটি সবাইকেই ভিসা দিচ্ছে তাই আশা করি সব ঠিক থাকলে ভিসা পেয়ে যাবেন।
আমি এজেন্সি খুজে পাবো কই ?
এখন কথা হলো এজেন্সি খুজে পাবো কই এ বিসয়েও আমি হেল্প করছি আমি যাদের মাধ্যমে কাজ করেছি তারা ভিসার আগে এক টাকাও নিবেনা এবং তাদের রেট অন্যদের থেকে যথেষ্ট রিজনেবল বরং অন্য এজেন্সিগুলো তাদের মাধ্যমেই কাজ করে।
মনে রাখবেন এই এজেন্সির সাথে আমার পার্সোনাল কোন সম্পর্ক নেই এবং আপনি কাজ করালেও আমার কোন বেনিফিট নেই শুধুমাত্র উপকারের স্বার্থে লিংকটি দিলাম। আপনি আপনার লেনদেন ও বাকী বিষয় নিজ দায়িত্বে করবেন এবং তাদের রেট যাচাই করেই করবেন যেখানে আপনি সুবিধা মনে করবেন সেখানে কাজ করাবেন । ক্লিয়ার ?
1 comments:
ভাই, চায়না ভ্রমণ নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট চাই। যেমন একমডেশন, খাবার, বিমান ভাড়া এই বিষয়গুলো নিয়ে ১ সপ্তাহ ট্যুরের টোটাল খরচ সহ আপনার গুয়াঞ্জুতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা পোস্ট লিখবেন প্লিজ।
Post a Comment